ঢাকার কেরানীগঞ্জের নৌকার মাঝি মনিন্দ দাস (৭০) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পাশাপাশি আত্মগোপনে থাকা তিন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০-এর সদস্যরা। গত বুধবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া সাবান ফ্যাক্টরি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. ফজলে রাব্বি (২১), মো. শরীফ (২০) ও মো. আজিজুল শেখ (২২)।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, নিহত মনিন্দ দাস (৭০) প্রতিদিনের মতো গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে খেয়াঘাটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। পথিমধ্যে চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া টিপু মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে গ্রেপ্তার আসামিরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে মাঝিকে ঘেরাও করেন। কিন্তু তাঁর কাছে কোনো কোনো টাকা-পয়সা না পেয়ে এবং ছিনতাইয়ের সময় বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো চাকু দিয়ে মাঝিকে হত্যা করে আসামিরা পালিয়ে যান।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা মাঝি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আসামিরা মাদকাসক্ত, পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী। এ ছাড়া তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ডাকাতিসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই এবং আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়ার টিপু মিয়ার বাড়ির সামনে অচেতন অবস্থায় একজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। পরে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়রা ভিকটিমের পরিচয় শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহত মনিন্দ দাসের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।