খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় এক সময় বাজারে যাওয়া-আসার জন্য গ্রামীণ সড়কই ভরসা ছিল। অনুন্নত এসব সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরেও যাতায়াত করতে হতো স্থানীয় বাসিন্দাদের। বর্তমানে অতিদরিদ্রেদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্গম এলাকায় বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ অবকাঠামো।
বিশেষ করে যেখানে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী ছিল, সেখানে ইজিপিপি প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কগুলো চলাচলের উপযুক্ত করা হচ্ছে। সড়কের আশপাশে জঙ্গল কেটে রাস্তা প্রশস্ত করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর তৃণমূলের (আন্তসড়ক ও গ্রামীণ) সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। এর আগে জনপদের একেবারে অনুন্নত এলাকায় কাবিখা, কাবিটা ও ৪০ দিনের প্রকল্পে অতিদরিদ্র নারী ও পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো। আর প্রকল্প বাস্তবায়নে পাল্টে যেত জনপদের চিত্র। এভাবেই প্রতিটি জনপদের গ্রামীণ সড়কে আমূল পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে।
তিনটহরী ইউপির রাইগ্যাপাড়া-পূর্ব তিনটহরী সড়কে গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, এই অনুন্নত পাড়ার হেঁটে চলার সরু রাস্তাটি প্রশস্তকরণে মাটি কাটছেন ১৬ জন নারী-পুরুষ। এ সময় আনুমা মারমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই গ্রামের শতাধিক মানুষ হেঁটে গ্রামীণ সড়কে গিয়ে মোটরসাইকেলে হাটবাজারে যাওয়া-আসা করত। এখন মাটির কাজ হয়ে গেলে বাড়িতেই গাড়ি আসবে। ছেলে-মেয়েরা অনায়াসে স্কুলে যেতে পারবে।’
এ সময় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে কাজ তদারকি করতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমার এই ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রত্যন্ত এলাকার পাড়া বা গ্রামে যাতায়াতের সরু রাস্তা এই প্রকল্পে জনচলাচল উপযোগী করা হবে।’
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, ‘গ্রামীণ সড়কের মধ্যে একেবারে মানুষের দোরগোড়ায় যাওয়ার রাস্তাঘাটে উন্নয়নের ছোঁয়ার অংশ হিসেবে ইজিপিপি প্রকল্পে এই ইউপিতে প্রথম পর্যায়ে আটটি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, এতে সত্যিই পাল্টে যাবে গ্রামীণ জনপদের জীবনচিত্র। শ্রমিকরা জনপ্রতি প্রতিদিন ৪০০ টাকা হারে সপ্তাহ/পক্ষকাল ও মাসিক কিস্তিতে নিজস্ব মোবাইল অ্যাকাউন্টে টাকা পাবেন।