হোম > ছাপা সংস্করণ

বাংলাদেশের লক্ষ্য কি এতটুকুই

রানা আব্বাস, অ্যাডিলেড থেকে

সাকিব আল হাসানকে এক সিনিয়র ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্নটা করলেন বেশ রসিয়ে। ম্যাচ গরম কিন্তু আবহাওয়া ঠান্ডা—কীভাবে দেখছেন বিষয়টা? বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক উত্তরটা বাংলায় দিতে শুরু করেছিলেন। ভারতীয় সাংবাদিক মনে করিয়ে দিলেন, বোলিং প্রান্ত বদল (ভাষা) হয়ে গেছে অধিনায়ক। সাকিব এক চোট হাসলেন।

সাকিবের মন্তব্য আলোচিত হবে না, তা হয় নাকি! গতকাল শুধু ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলন করতে অ্যাডিলেড ওভালে আসা বাংলাদেশ অধিনায়ক শুরুতে একটু সময় নিলেন ‘সেট’ হতে। সেট হয়েই চালালেন। বললেন, ‘ভারত ফেবারিট দল। তারা এখানে বিশ্বকাপ জিততে এসেছে। আমরা ফেবারিট নই, বিশ্বকাপ জিততে এখানে আসিনি। আমরা ভালো করেই জানি, ভারতের বিপক্ষে জিতলে এটি আপসেট হবে। আমরা চেষ্টা করব, সেরা খেলাটা খেলতে এবং আপসেট ঘটাতে।’

যেকোনো বিষয়েই তিনি অকপটে বলতে পছন্দ করেন। কূটনৈতিক উত্তরের ধার ধারেন না অনেক সময়। স্বাভাবিকভাবেই সাকিবের মন্তব্য চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয় না। গতকাল যেমন রাখঢাক না রেখে বললেন, ভারত আজকের ম্যাচে ফেবারিট। পরোক্ষভাবে নিজের দলকে ‘আন্ডারডগ’ হিসেবে দেখছেন সাকিব। যদি বাস্তবতার কথা বলা হয়, আজ ভারত অবশ্যই এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবে। সে হিসেবে সাকিবের মন্তব্য অযৌক্তিক বলার সুযোগ কম। আবার প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়িয়ে আগেই হাত তুলে রেখে নিজেদের নির্ভার রাখার কৌশলও হতে পারে এটি। যদি বাংলাদেশ হেরে যায়, সাকিব তখন বলতে পারবেন, ম্যাচের আগেই তো বলা হয়েছিল ভারত ফেবারিট।

অবশ্য এর বিপরীতে যুক্তি আছে। আক্রমণাত্মক অধিনায়ক হিসেবে পরিচিত সাকিবের এমন রক্ষণাত্মক ভাবনা অবাক করার মতোই। আর প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক, প্রতিপক্ষকে নিশ্চয়ই ম্যাচের আগে সম্ভাব্য ‘বিজয়ী’ হিসেবে দেখেন না কেউ-ই। সাকিব যে ভাবনাতেই বলুন, বাংলাদেশ দলের চোখেমুখে আত্মতুষ্টির ছায়া দেখা গেল। সমর্থকেরা যতই সেমিফাইনালের আশা করুন, বাংলাদেশ দল মনে করে তাদের বড় লক্ষ্য পূরণ হয়ে গেছে। এখন যা মিলবে, সবই বোনাস।

বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগে হোবার্টে সাকিব বলেছিলেন, তাঁরা এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এমন কিছু করতে চান, যেটি আগে কখনো বাংলাদেশ দল করতে পারেনি। নেদারল্যান্ডস আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতে বাংলাদেশ সেই লক্ষ্য পূরণ করেছে। গত ১৫ বছরে সুপার টুয়েলভে কোনো ম্যাচ জিততে না পারা বাংলাদেশ এবার দুটি ম্যাচ জিতেছে। প্রতিপক্ষ যেমনই হোক, বাংলাদেশ জয়ের খরা তো ঘুচিয়েছে।

সাকিব তাই বলছেন, এখনো পর্যন্ত টুর্নামেন্টে তাঁরা যেভাবে খেলেছেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট, ‘অবশ্যই সন্তুষ্ট। এখনো পর্যন্ত আমরা ভালো খেলছি। অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটা আমরা ভালো খেলিনি। তবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এ রকমটা হতেই পারে। বাকি দুই ম্যাচ আমরা ভালো খেলেছি।’

বাংলাদেশের স্বপ্নের সীমা কি উল্লিখিত দুটি ম্যাচ জেতা? সরাসরি না বললেও সাকিবের কথায় পরিষ্কার, বাকি দুই ম্যাচে না জিতলেও ক্ষতি নেই। যতটুকু হয়েছে, তাতেই তাঁরা তৃপ্ত। সাকিব বলছেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য সামনে দুটি ম্যাচ খুব ভালোভাবে খেলা। দুটি ম্যাচের কোনো ম্যাচও যদি জিততে পারি, সেটা আপসেট হিসেবে গণ্য হবে। সেই আপসেট ঘটাতে পারলে আমরা খুশি হব। না করতে পারলে বেশি কিছু বলার নেই। দুই দলই কাগজে-কলমে আমাদের চেয়ে অবশ্যই ভালো।’

সাফল্যের ক্ষুধা অনেকটা মিটে গেলে বোধ হয় এভাবে ভাবা যায়—নতুন কোনো সাফল্য পেলে ভালো, না পেলে সমস্যা নেই।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ