‘আমি টিকা নিইনি এবং নেওয়ার পরিকল্পনাও নেই।’ উইম্বলডন জেতার পর নোভাক জোকোভিচের সহজ-সরল স্বীকারোক্তি। ৭ম উইম্বলডন ও ২১তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে চলমান টিকা বিতর্ককে যেন আরেকটু উসকে দিলেন সার্বিয়ান মহাতারকা। বিতর্ক ও শ্রেষ্ঠত্ব যে তাঁর নামের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে গেছে, সেই প্রমাণই যেন আরেকবার দিতে চাইলেন জোকোভিচ। এই দুটি বিশেষণের সঙ্গে অবশ্য চাইলে ‘নাটুকে’ শব্দটাও জুড়ে দেওয়া যায়। নাটুকে না হলে কি আর ফাইনাল জিতে সেন্টার কোর্টের ঘাস খেতে বসে যান!
বছরের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে না পেরে আলোচনায় এসেছিলেন জোকোভিচ। টিকা না নেওয়ায় অস্ট্রেলিয়া সরকার টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফেরত পাঠায় তাঁকে। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি ফ্রেঞ্চ ওপেনেও। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালের কাছে হেরে বিদায় নেন কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই। তবে উইম্বলডনে জোকো ফিরেছেন রাজার মতোই। ঘাসের কোর্টে ৭ম বারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেন, যা কি না সেন্টার কোর্টে টানা চতুর্থ শিরোপাও বটে। এই জয়ে ঘাসের কোর্টে রজার ফেদেরারের একক শ্রেষ্ঠত্বকেও হুমকির মুখে ফেললেন জোকোভিচ।
টেনিসে ‘অমরত্ব’ আগেই নিশ্চিত করেছিলেন জোকোভিচ, এখন অপেক্ষা আরও ওপরে ওঠার। এই জয়ে ইতিমধ্যে ছাড়িয়ে গেছেন আরেক কিংবদন্তি ফেদেরারের ২০ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ডকে। সামনে আছেন কেবল নাদাল। চোটের সঙ্গে নাদালের সখ্য দ্রুত শেষ না হলে জোকোভিচের এককভাবে শীর্ষে ওঠা শুধুই সময়ের ব্যাপার।
তবে উইম্বলডন জিতলেও বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম খেলা নিশ্চিত নয় জোকোভিচের। টিকা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবেন না। আর টিকা নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জোকোভিচ। শিরোপার জন্য নিজের ব্যক্তিগত ইচ্ছার স্বাধীনতাকে জলাঞ্জলি দিতে মোটেই রাজি নন জোকোভিচ। শ্রেষ্ঠত্বে যেমন বাকি দুজন ফেদেরার-নাদালের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন অবস্থান জোকোভিচের, বিতর্ক তৈরিতেও তার ব্যতিক্রম নন।