আধুনিকতার মূল বিষয়ই হলো সহজ, সাধারণ আর আরামদায়ক। বিষয়টি এখন পোশাকের ক্ষেত্রেও লক্ষণীয়। মানুষ এখন পোশাক কেনার সময় আরামের কথা সবার আগে চিন্তা করে। আর সেটা শুধু শরীর নয়, চোখের আরামের ক্ষেত্রেও বটে।
এখন বহির্বিশ্বে একরঙা পোশাকের চাহিদা তুঙ্গে। সেই ছোঁয়া বাংলাদেশের ফ্যাশনেও লক্ষণীয়। ইদানীং দেখা যায়, অনেকেই মাথা থেকে পা পর্যন্ত এক রঙের পোশাক পরেন। এটিকেই বলা হয় মনোক্রোম ট্রেন্ড।
মনোক্রোম শব্দটি ‘মনো’ অর্থ ‘এক’ ও ‘ক্রোম’ অর্থ ‘রং’ শব্দ দিয়ে তৈরি। এ থেকেই বোঝা যায়, এক রঙের পোশাককেই মূলত মনোক্রোম পোশাক বলা হচ্ছে এখন। এই ট্রেন্ডে কেউ পুরো পোশাক পরতে পারে, একটি রঙের বা একটি শেডের। আবার কেউ চাইলে একই রঙের বিভিন্ন শেডের রংও ব্যবহার করতে পারে। অনেকেই আবার মনোক্রোম বলতে সাদা ও কালোর মিশেলকে বোঝেন। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তা নয়। পোশাকে যেকোনো একটি রঙের ব্যবহারই মূলত মনোক্রোম ফ্যাশন। যেহেতু এটি একরঙা ফ্যাশন, তাই যেকোনো রঙের শেড দিয়ে মনোক্রোম ফ্যাশন বানানো সম্ভব।
তরুণেরা যেহেতু ট্রেন্ডি হতে পছন্দ করেন, তাই মনোক্রোম ফ্যাশনের প্রতি তাঁদের ঝোঁকটা বেশি চোখে পড়ে। তবে বয়স্ক বা প্রবীণদেরও এই ট্রেন্ডের প্রতি কমবেশি আগ্রহ যে নেই, তা বলা যায় না।
সালোয়ার-কামিজের ক্ষেত্রে জামা, পায়জামা ও ওড়নার শেড পরিবর্তন করে একই রং ব্যবহার করা যেতে পারে মনোক্রোন ফ্যাশনের ক্ষেত্রে। আবার শাড়ির ক্ষেত্রে একই রঙের বিভিন্ন শেডের প্যাটার্ন ব্যবহার করা যায় এবং তার মধ্যে একটি শেডের ব্লাউজ পরা যায়। কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে চুড়ি, কানের দুল, মালা, ঘড়ি ও জুতা পরতে হবে।
যাঁরা ট্রেন্ড ফলো করেন, তাঁরা নিজেদের পছন্দমতো রঙের বিভিন্ন শেড ব্যবহার করে মনোক্রোম ফ্যাশন ফলো করতে পারেন। তবে গরমের দিন হালকা রঙের বিভিন্ন শেড ব্যবহার করাই ভালো। এতে শরীরের পাশাপাশি চোখেরও আরাম হয় বলা চলে।
সূত্র: ইনস্টাইল