হোম > ছাপা সংস্করণ

শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে শঙ্কা

ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা

সারা দেশে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সরকারি নির্দেশনায় করোনার টিকা দেওয়া চলছে। এর মধ্যে ব্যতিক্রম মাগুরা জেলা। এখনো কোনো শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। অথচ আগামী ২ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে টিকা নিতে পারবে কি না এ নিয়ে শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হয়তো এই সপ্তাহের পেয়ে যাবেন টিকা। ১১ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে বেশি সময় লাগবে না।

জানা গেছে, মাগুরায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের টেকনিক্যালসহ মোট প্রতিষ্ঠান ৭৮ টি। এবার জেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১১০১৪ জন। সদরসহ শালিখা, মহম্মদপুর ও শ্রীপুর উপজেলা এসব শিক্ষার্থী কবে টিকা পাবে তা নিয়ে এখনো ঠিক হয়নি।

মহম্মদপুর বাবুখালী আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল আলম জানান, তাঁর কলেজে এবার পরীক্ষার্থী ৯৯ জন। তাদের তালিকা করে শিক্ষা অফিসে আগেই পাঠিয়েছেন। টিকা এলে জানা যাবে কবে শিক্ষার্থীরা মাগুরা গিয়ে টিকা নিতে পারবে।

সদরের জগদল সম্মিলনী কলেজের অধ্যক্ষ আবু তাহের বলেন, ‘এবার ১২১ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে। টিকা দেওয়ার কথা অনলাইনে জেনেছি। কিন্তু কবে তা জানি না। টিকা দেওয়া সংক্রান্ত কোনো চিঠি এখনো হাতে আসেনি।’

আড়পাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান জানান, কলেজ থেকে এবার ৩০০ জনের ওপরে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। টিকা নিতে হবে জেনেছি। তবে কবে থেকে সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ দেবব্রত ঘোষ জানান, এবার কলেজে ১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে। পরীক্ষার যেহেতু বেশি দেরি নেই, তাই টিকা আসার সঙ্গে সঙ্গে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চাই।

এসব প্রতিষ্ঠান প্রধান ছাড়াও জেলার বেশ কয়েকটি বেসরকারি কলেজের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিকা কবে কোথায় দিতে হবে তা তাঁরা এখনো জানেন না। তাঁরা জানান, পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তারা এ নিয়ে খুবই চিন্তিত।

মাগুরা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী রকি জানায়, কবে টিকা দেওয়া হবে জানি না। পরীক্ষা তো আর এক সপ্তাহ আছে। পড়াশোনা আর টিকার টেনশন নিয়ে দিন যাচ্ছে। আরও কয়েকজন জানায়, সবাই টিকা নিয়ে টেনশনে আছে। পরীক্ষা যত ঘনিয়ে আসছে ততই টেনশন বাড়ছে।

পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, টিকা এখনো আসেনি। তবে সিভিল সাজনের সঙ্গে কথা বলেছি। টিকা আসা মাত্রই শিক্ষার্থীদের জানানো হবে। তিন দিনের মধ্যে সবাইকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা সিভিল সাজন কার্যালয়ের আছে। তাই আমরা টিকা আসার অপেক্ষায় আছি।

টিকা বাধ্যতামূলক কি না এমন প্রশ্নে আলমগীর কবীর বলেন, সরকারি নির্দেশনা রয়েছে প্রতিটি পরীক্ষার্থীদের টিকা নিতে হবে। যদি কোনো শিক্ষার্থীর শারীরিক জটিলতা থাকে তবে পরে নিতে পারবে। মাগুরায় টিকা এলেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জানিয়ে দেব। নির্দিষ্ট একটি রুটিন করে কয়েক দিনে টিকা দেওয়া সম্পন্ন হবে। এতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে কোনো সমস্যা হবে না বলেও জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।

সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। এই টিকা এখনো মাগুরা এসে পৌঁছায়নি। আমরা টিকা পেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুসারে দেওয়া শুরু করব। তিনি জানান, যেহেতু এই টিকা খুবই স্পর্শকাতর। এসি রুমে টিকা দিতে হবে। তাই সিভিল সাজন কার্যালয় ও সদর হাসপাতালের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে টিকা কার্যক্রম চলবে।

টিকা আসতে কত সময় লাগবে প্রশ্নে এ চিকিৎসক বলেন, হয়তো এ সপ্তাহে আমরা পেতে পারি। যেহেতু আমাদের এক দিনে গণটিকা দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই ১১ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে বেশি সময় লাগবে না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ