ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দুদিন ধরে বিরতিহীনভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ফলে নদী পারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে। সেই সঙ্গে এই রুট ব্যবহারকারী যাত্রীদেরও ভোগান্তির শিকার হয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে হচ্ছে।
গতকাল সোমবার দুপুর তিনটার দিকে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ফেরি পারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের তিন কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক। ফেরিতে উঠতে এসব যানবাহনকে তিন ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
৫ নম্বর ঘাটে ফেরিতে ওঠার সময় একটি দূরপাল্লার বাস কাদায় সৃষ্ট গর্তে আটকে পড়ে। পরে কাঠের গুঁড়ি চাকার নিচে দিয়ে গাড়িটি ফেরিতে ওঠানো হয়। এ সময় সড়ক দিয়ে অন্যান্য যানবাহন ফেরিতে উঠতে পারেনি। ফেরিতে ওঠানামার সময় যাত্রীরা সতর্কতার সঙ্গে চললেও মাঝেমধ্যে দু-একজন পা পিছলে পড়ে গেছেন। এমনকি একজন মোটরসাইকেল নিয়েও পরে যান।
পরিবহনচালক আলাল হোসেন বলেন, ‘প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কের কাদার ভেতর লাইন ধরে আছি। কাদাপানির কারণে চাকা ঘুরতে থাকে। অনেক কষ্ট করে উঠতে হচ্ছে।’
দিগন্ত পরিবহনের চালক ইয়াছিন হোসেন বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় ঘাটে এসেছেন। ৩টার সময় জিরো পয়েন্টে পৌঁছেছেন। ফেরি পার হতে আরও আধা ঘণ্টা লাগবে।
আক্তার হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, বৃষ্টির কারণে সড়কে গাড়ি নেই বললেই চলে। ভেঙে ভেঙে ফরিদপুর থেকে ঘাটে এসেছেন। চাকরি বাঁচানোর জন্য বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই মানিকগঞ্জে যাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়ক পিচ্ছিল হয়ে গেছে। যে কারণে যানবাহন ফেরিতে উঠানামা করতে অনেক সময় লাগছে। এতে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইন তৈরি হচ্ছে।