প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তৌহিদ হৃদয়ের শুরুটা আশা জাগানিয়া। ৮ ম্যাচের ৪টিতেই হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু ইনিংসগুলোর পূর্ণতা দিতে পারছিলেন না। অবশেষে স্বপ্নের তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে গেলেন হৃদয়। গতকাল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডের তৃতীয় দিনে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল ব্যাটার তুলে নিলেন সেঞ্চুরি।
প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তাঁর সতীর্থ অমিত হাসানও। এই দুজনের সেঞ্চুরির পর দাঁড়িয়ে ৩ উইকেটে ৩৫০ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে দক্ষিণাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের চেয়ে এখনো ৩৫ রানে পিছিয়ে আছে তারা। তাতে অবধারিতভাবেই ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে বিসিবির দুই দলের লড়াইটি। তিন দিন পেরিয়ে গেলেও দুই দলের প্রথম ইনিংসই শেষ হলো না!
চট্টগ্রামে ম্যাড়মেড়ে দিন কাটলেও ঢাকায় দারুণ লড়াই হয়েছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ও ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের। প্রথম ইনিংসের লিড কাজে লাগাতে পারেনি পূর্বাঞ্চল। মধ্যাঞ্চল পেস তোপে উল্টো হারের মুখে পড়েছে তারা। আজ চতুর্থ তথা শেষ দিনে জিততে হলে পূর্বাঞ্চলকে নিতে হবে ৯ উইকেট। আর টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে মধ্যাঞ্চলের দরকার ১১২ রান।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনভর উত্তরাঞ্চল বোলারদের ভুগিয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের টপঅর্ডার। আগের দিন ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের আউটের পর তৃতীয় উইকেটে অমিত ও হৃদয় গড়েন ২৫৮ রানের জুটি। জুটি ভাঙে অমিত ১৩১ রানে বিদায় নিলে। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরিটি অমিত সাজান ১২টি চারে। ১৫৯ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন হৃদয়। ইনিংসে ১৩ চার ও তিন ছক্কা মেরেছেন তিনি। আজ তাঁর সঙ্গী জাকির (১৭)।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে জয়ের সুবাস পাচ্ছে মধ্যাঞ্চল। ১৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেটে ৮৭ রান করেছে তারা। মিজানুর রহমান ১২ রানে আউট হন। তবে টিকে আছেন মোহাম্মদ মিঠুন (৪২*) ও সৌম্য সরকার (৩৩*)। এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে পূর্বাঞ্চলকে ১৮০ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছে শুভাগত হোমের দল। প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৬৫ রান কম।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রানে ৬ উইকেট হারায় পূর্বাঞ্চল। পরে প্রীতম কুমার ও নাঈম হাসান প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১০৩ রানের জুটিতে দুজনই পেয়েছেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। প্রীতম ৫৪ ও নাঈম ৬৮ রানে আউট হওয়ার পর ফের ছন্দপতন হয় পূর্বাঞ্চলের। মধ্যাঞ্চলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন হাসান মুরাদ।