সত্তরোর্ধ্ব জাহানারা বেগম ও তাঁর দেবরের স্ত্রী হোছনেয়ারা বেগম এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর শুনে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তাঁদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারান তাঁরা।
গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক-সংলগ্ন হাটহাজারী উপজেলার সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রতারণার শিকার ওই দুই নারীর বাড়ি রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামে।
এ ঘটনায় তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
জাহানারা ও হোছনেয়ারা জানান, গতকাল সকালে রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামের আব্বাস আলী টেন্ডল বাড়ি থেকে তাঁরা রওনা দেন। তাঁরা হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া গ্রামে তাঁদের এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানে যাচ্ছিলেন। তাঁরা চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের হাটহাজারী কলেজ গেট এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে পৌরসভার কাচারি সড়ক দিয়ে হাঁটা শুরু করেন।
জাহানারা ও হোছনেয়ারা আরও জানান, পথে প্রতারক চক্রের এক ব্যক্তি তাঁদের অপর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠতে বলে। এ সময় প্রতারকেরা তাঁদের দেখে খুব হতদরিদ্র মনে হচ্ছে এমনটা জানিয়ে ত্রাণ (এক বস্তা চাল, পাঁচ লিটার তেল ও একটি কম্বল) দেওয়া হবে বলে জানায়। ত্রাণের জন্য উপজেলায় যেতে হবে বলে ওই সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তাঁদের হাটহাজারী উপজেলার সামনে নিয়ে যায়। এরপর তাঁদের স্বর্ণালংকার (দুই জোড়া কানের দুল), অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও টাকা হোছনেয়ারা বেগমের ব্যাগে রেখে ত্রাণ নেওয়ার জন্য উপজেলা কম্পাউন্ডে ঢুকতে বলা হয়। এরপর প্রতারক চক্রের সদস্যরা হোছনেয়ারা বেগমের কাছে রক্ষিত স্বর্ণালংকার, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, টাকাসহ ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেয়। পরে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে কান্না শুরু করেন তাঁরা। এ সময় প্রতারক চক্রের সদস্যরা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক হয়ে রাউজানের দিকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (ডিউটি অফিসার) আমির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’