আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে প্রশংসিত হয়ে আগামী ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বাংলা সিনেমা ‘নোনা জলের কাব্য’। তবে সর্বসাধারণের আগেই সিনেমাটি দেখলেন যাদের জীবন নিয়ে গড়া এই সিনেমা সেই জেলেপাড়া ‘গঙ্গামতি গ্রামের’ মানুষ। প্রায় ৭ বছরের প্রচেষ্টার পর নিজের প্রথম সিনেমাটি মুক্তি দিতে যাচ্ছেন নবাগত পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত।
গত সোমবার রাত ৮টার দিকে পটুয়াখালির কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউপির গঙ্গামতির চর নামক সমুদ্র সৈকতে পুরো সিনেমাটি দেখানো হয়। এই গঙ্গামতি গ্রামের জেলেদের জীবনচিত্র ও তাদের অভিনয় বড় পর্দায় সিনেমাটি দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সে সময় সিনেমাটির পরিচালকসহ উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী তাসনোভা তামান্না ও বেশ কয়েকজন কলা কৌশলী।
দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী প্রান্তিক জেলেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকার লড়াই, জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা এবং তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কার এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, এবং তাসনোভা তামান্না। আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব।
পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত বলেন, ‘২০০৮ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, তখন বন্ধুদের নিয়ে কুয়াকাটা ঘুরতে এসে এই সিনেমার উদ্যোগ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমাটি নিয়ে আমি ৭-৮ বছর একরকম সংগ্রাম করছি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এই গ্রামের মানুষের সহযোগিতা ও ভালোবাসায় আড়াই মাসের চেষ্টায় শুটিং শেষ করি। আমি ঢাকা থেকে মাত্র ৭-৮ জন অভিনেতা এনেছিলাম বাকি অনেক কাজ এই গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা করেছে সেটা ক্যামেরার সামনে এবং পেছনে।’
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘জেলেদের দুঃখ দুর্দশা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ এই প্রত্যন্ত এলাকার চিত্র এই সিনেমায় ফুটে উঠেছে। আমরা জেলেদের বর্তমানে যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’