সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের খরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। ফলে বাঁশের চটা ও গোলপাতা দিয়ে বানানো অস্থায়ী খুপরি ঘরে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। অপরিকল্পিত ঘের করে মাছ চাষের ফলে এমন অবস্থা বলে অনেকেই মনে করেন।
খরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, মূল ভবনসহ শৌচাগার ও টিউবওয়েল পানিতে নিমজ্জিত। রাস্তার পাশেই একটি ছোট জায়গা বাঁশের চটা দিয়ে ঘিরে ও গোলপাতার ছাউনির চালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলছে পাঠদান। একই ঘরে প্রধান শিক্ষকসহ অপর চারজন শিক্ষক অবস্থান করছেন। খুপরি ঘরের সঙ্গে বাঁধা বাঁশের খুঁটিতে উড়ছে জাতীয় পতাকা।
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী দীপু মণ্ডল, জুবাইদা সুলতানা যূথী ও রোজ মণ্ডল জানায়, পানিতে মূল ভবন জলমগ্ন রয়েছে। তাদের বাথরুম ও টিউবওয়েল পানির ভেতরে। করোনার সময়ে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় খোলা না থাকলেও গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের ক্লাস চলছে বিদ্যালয়ের মূল ভবনের সামনে রাস্তার পাশে।
খরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ জাকির হোসেন বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে শুধু এবার নয়, গতবারও এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিবছর চার থেকে সাড়ে চার মাস তাঁদের এ বেহালে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিকাশ চন্দ্র রায় জানান, অপরিকল্পিত মাছের ঘের ও ভবানীপুর খালের পাশে বাঁধ দেওয়ায় বারাত বিলের পানি সরতে পারছে না। ঘেরের কারণে বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মোহনা বাজার যাওয়ার রাস্তাটিও সরু হয়ে গেছে। প্রশাসনিকভাবে উদ্যোগ না নিলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) শেখ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণেই খরাইলসহ কয়েকটি স্কুলে বিকল্প ঘর নির্মাণ করে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত কিছুটা কষ্ট তো পোহাতে হবে।’