আকাশ ফেটে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি নামলেও গরম কিন্তু রেহাই দিচ্ছে না। এরপর আসছে ঈদুল আজহা। এই ঈদে রান্নাঘরের কাজটা একটু বেশিই থাকে। আর তাই কাপড় সুতির হলে মিলবে আরাম। খেয়াল করলে দেখা যায়, ঘরে পরার জন্য় হোক বা অনুষ্ঠানে ইদানীং তাঁতের শাড়ি কিন্তু দারুণ প্রাধান্য় পাচ্ছে। এ ছাড়া তাঁতের শাড়ি কর্মজীবী নারীরা রোজ অফিসে পরার জন্য়ও রাখছেন পছন্দের তালিকায়।
পরিধানকারীর আরাম ও স্বচ্ছন্দের কথা বিবেচনায় রেখে গরমে পরার জন্য ডিজাইনাররাও হ্যান্ডলুম বা তাঁতের শাড়ির ওপর বিভিন্ন ধরনের ভ্য়ালু অ্যাড করছেন। গরমে চোখের আরামের জন্য কাপড়ের রং বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিয়েছেন তাঁরা।
ঊর্মিলা শুক্লা ও ফারহানা হামিদ আত্তি দুজনের উদ্যোগে গড়ে ওঠে ‘খুঁত’। এটি মূলত তাঁতের শাড়ির জন্য জনপ্রিয়। প্রথমে ফেসবুক পেজের মাধ্য়মে শাড়ি বিক্রির কাজ শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে খুঁতের আউটলেট হয়।
ফারহানা হামিদ আত্তি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের দেশের আবহাওয়ার কারণেই এ ধরনের শাড়ি পরে আরাম পাওয়া যায় ও সহজে পরে ফেলা যায়। তাই চাহিদাও বেশি।’
খুঁতে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা দামের শাড়িও পাওয়া যায়। ফলে কাস্টমার রেঞ্জও ভিন্ন। শাড়ি ছাড়াও প্যাচওয়ার্কের স্কার্ট, টপস, প্যান্ট, সালোয়ার, কুর্তি, ব্লাউজ, পাঞ্জাবি ইত্য়াদিও তৈরি করছে খুঁত।
পোশাকের ফেসবুক পেজ ‘কইন্যা’র স্বত্বাধিকারী বাঁধন মাহমুদ বলেন, ‘প্লেইন হ্যান্ডলুম শাড়ির ওপর ব্লক, বাটিক, স্ক্রিনপ্রিন্ট করছি আমরা। এ ছাড়া বিভিন্ন রঙের কম্বিনেশনের পাড়ের শাড়ি নিয়ে কাজ চলছে। একরঙা তাঁতের শাড়ি, যার আঁচলটা হয়তো অন্য় রঙের বা আঁচল আর কুচি একই রঙের আর জমিন আলাদা রঙের এমন শাড়ির ওপর আমরা ভ্যালু অ্যাড করি। যেমন, একরঙা শাড়ির ওপর মেরিলিন মনরো, যামিনী রায়, সত্য়জিৎ রায়সহ অন্য়ান্য় মোটিফে শাড়ি করেছি আমরা। সব সময়ই নতুন কিছু যোগ হচ্ছে।’