ছোট্ট কুকুরছানা বেঞ্জির মা নেই। তাই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে তার দিন কাটে। এভাবে রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতেই একদিন তার দেখা হয় স্কুলফেরত কার্টারের সঙ্গে। দেখে প্রথমে ভয় পেলেও তার দেওয়া স্ট্রবেরি ঠিকই খেয়ে নেয় বেঞ্জি। বুঝতে পারে, ছোট ছেলেটি তার ক্ষতি করবে না। পিছু পিছু বাড়ি পর্যন্ত চলে যায়। বেঞ্জিকে দেখে কার্টারের বোন ফ্র্যাঙ্কিও বেজায় খুশি। বেঞ্চিকে তারা গোসল করিয়ে দেয়, খাবার খাওয়ায়, একসঙ্গে একই খাটে ঘুমায়।
কিন্তু সকালবেলা পরিবারের নতুন সদস্যকে দেখে মোটেও খুশি হতে পারে না তাদের মা। তাদের পুলিশ অফিসার মাকে দেখে বেঞ্জিও চেঁচায়। বেঞ্জিকে যাতে রাস্তায় রেখে আসা হয় সে বিষয়ে দুই বাচ্চাকে কড়া নির্দেশ দেন তিনি। মায়ের কথামতো তারা রাস্তায় ছেড়ে দেয় বেঞ্জিকে। এরপর এক দোকানে ঢোকে তারা। সেখানে মুখোশ পরা ডাকাত এসে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। এক ডাকাতের মুখোশ খুলে গেলে দুই ভাইবোন তার চেহারা দেখে ফেলে। পরে তারা পুলিশকে চিনিয়ে দেবে এই ভয়ে তাদের অপহরণ করে ভ্যানে তোলা হয়। বেঞ্জি তাদের পিছু পিছুই ঘুরছিল। বিপদ আঁচ করে সে ভ্যানের পেছন পেছন দৌড়াতে থাকে। তাদের মা ও অন্য পুলিশ অফিসারদের কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা করে। শেষে কী হয় তা জানতে হলে সিনেমাটি দেখে ফেল।
টান টান উত্তেজনায় ভরা সিনেমাটি দেখে মোটেও বিরক্ত হবে না। সিনেমাটি প্রথম মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। এর রিমেক তৈরি হয় ২০১৮ সালে। সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে।