প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও বিশিষ্টজনদের টার্গেট করতেন রিজভী। এরপর ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে আপত্তিকর মেসেজ ও অশ্লীল ছবির সঙ্গে আপত্তিকর প্রস্তাব পাঠাতেন ইনবক্সে। পরে ইনবক্সের মেসেজ ফাঁস করার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নানাভাবে অর্থ দাবি করতেন এই প্রতারক। এমন অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন ওরফে রিজভীকে (২২) আটক করেছে ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশের ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ গতকাল মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের খুলশী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলে ভুয়া নামের পাঁচটি ফেসবুক আইডি পাওয়া যায়।
জব্দ করা মোবাইল ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের চ্যাটিং পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রিজভী শত শত লোকের সঙ্গে ভুয়া আইডি দিয়ে আপত্তিকর চ্যাটিং করেছেন এবং বিভিন্ন কৌশলে তাঁদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ আরও বলেন, ফেসবুকে কেউ তাঁর প্রস্তাবে সাড়া দিলেই মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন আপত্তিকর বার্তার সঙ্গে ছবি বা ভিডিও আদান-প্রদান করতেন। পরবর্তী সময়ে ওই ব্যক্তিকে চ্যাটিং ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলে টাকা দাবি করা হতো। কেউ একবার টাকা দিলেও তাঁর কাছে বারবার টাকা চাইত। পরে এক ভুক্তভোগীর করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিজভীর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত ব্যক্তি ছাড়া কারও বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ না করার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও বা তথ্য কাউকে না পাঠানোর অনুরোধ জানান।