৯০ বছরের বৃদ্ধ আব্দুল কুদ্দুস। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা। বয়সের ভারে হাঁটা-চলা করতে পারেন না। তাই ভাতিজার কোলে চড়ে ভোট দিতে কেন্দ্রে যান তিনি। ভোট দিতে পেরে আনন্দিত আব্দুল কুদ্দুস।
গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘ভাবিনি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অসুস্থ শরীর নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারব। আমারও ইচ্ছা ছিল ইভিএমে ভোট দেওয়ার। ভাতিজাদের সাহায্যে ভোটকেন্দ্র গেলাম এবং ভোট দিলাম। পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছি।’
ভাতিজা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘চাচা অনেক বছর শিক্ষকতা করেছেন। শেষ বয়স হলেও চাচার ভোটাধিকার প্রয়োগ করাতে পেরে চাচাও খুশি এবং আমরাও তৃপ্ত।’কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হওয়ায় এই প্রবীণ শিক্ষক অসুস্থ শরীর নিয়ে ভোট দিতে কেন্দ্রে এসেছেন।
খাড়েরা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চার, সাধারণ সদস্য পদে ২৯ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।