মানুষের প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার ক্ষেত্রেও মহানবী (সা.) অনুপম আদর্শ শিখিয়েছেন। বিশেষ কোনো অপারগতা না থাকলে তিনি সব সময় বসে প্রস্রাব করতেন; দাঁড়িয়ে করতেন না। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তোমাদের বলবে, রাসুল (সা.) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতেন, তোমরা তাকে বিশ্বাস কোরো না। তিনি কেবল বসেই প্রস্রাব করতেন।’ (তিরমিজি)
বসে প্রস্রাব করা ইসলামের পরিচয় এবং অন্যতম শিষ্টাচার। ওমর (রা.) বলেন, ‘আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর আর কখনো দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করিনি।’ (তিরমিজি)
দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা ইসলামি তমদ্দুন পরিপন্থী। এ ছাড়া দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে সতর দেখা যায় এবং প্রস্রাবের ছিটেফোঁটা শরীরে ও কাপড়ে মেখে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রস্রাবের ছিটেফোঁটা থেকে বেঁচে থাকতে রাসুল (সা.) বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা প্রস্রাব থেকে দূরে থাকো; কারণ অধিকাংশই কবরের আজাব প্রস্রাবের কারণে হয়ে থাকে।’ (দারাকুতনি)
বিশেষ অপারগতা ও অক্ষমতার কারণে বসে প্রস্রাব করতে না পারলে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা যাবে। তবে বর্তমানে হাইকমোডের সুবিধা থাকায় একেবারে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব না করে লো-কমোড ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন আলেমরা। তবে অপারগতার কারণে কেউ যদি দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে, তাতে অসুবিধা নেই। ময়লার ঢিবিতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার কথাও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। (আবু দাউদ) কারণ, সেখানে বসে প্রস্রাব করতে গেলে আবর্জনা গায়ে লাগার সম্ভাবনা আছে।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক