বেগুনি রঙের ফুলে ভরে উঠছে শিমখেত। প্রকৃতিও অনুকূলে। শীত না এলেও শীতকালীন সবজি শিম এসেছে খেতজুড়ে। খেত থেকে শিম তুলে বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছেন চাষিরা। ভালো দাম পেয়ে তাঁদের মুখে হাসির আভা।
প্রতিবছরই চারঘাট উপজেলার উঁচু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় আগাম শিম। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন শিম আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠজুড়ে শিমখেত। পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
নন্দনগাছী গ্রামের বাহাদুর আলী এ বছর নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে শিম আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে কিছু শিম তুলে বিক্রি করেছেন। কেজিপ্রতি দর পাচ্ছেন ৯০ থেকে ১১০ টাকা। শীত শুরুর আগে আগে শিম বিক্রি করতে পারলে লাভ বেশি হবে। সেভাবেই শিমের খেত তৈরি করেছেন তিনি।
বরকতপুর এলাকার কৃষক মাইনুল ইসলাম জানান, এবার ২২ শতাংশ জমিতে শিম আবাদ করেছেন। গত বছর এ সময় অতিবৃষ্টিতে শিমখেত নষ্ট হয়েছে। তাই খুব একটা লাভ হয়নি তাঁর। এবার আগাম জাতের শিমে ভালো দাম পাচ্ছেন।
চারঘাট সদর বাজারে গতকাল শিম বিক্রি হয় খুচরা ১২০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি।
গ্রামের চাষিরা বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখন ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে শিম কিনছেন। তবে অল্প কিছুদিন পর বাজারে আমদানি বেড়ে গেলে দামও কমে যাবে। শেষ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলেও লাভ হবে তাঁদের।
চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, শীতকালীন সবজি শিম আগাম বাজারে নিয়ে আসতে হলে মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে জমিতে লাগাতে হয়। এ বছর প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় সবজির চাষাবাদ ভালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।