বিদেশগামী যাত্রীদের ‘চোখ ওঠা’ লক্ষণ প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে সম্ভব হলে বিদেশ ভ্রমণ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিসাসংক্রান্ত জটিলতা এবং জরুরি প্রয়োজনে ‘চোখ ওঠা/কনজাংটিভাইটিস’ রোগে আক্রান্ত যাত্রীরা ভ্রমণ করলে বিএমডিসি রেজিস্টার্ড একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ বা এমবিবিএস ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। সেই সঙ্গে উপযুক্ত প্রেসক্রিপশন, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সানগ্লাস পরে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং ডকুমেন্টস যাচাই করে যাত্রীদের ভ্রমণের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেবেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত কেউ বিদেশে যেতে বিমানবন্দরে এলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সবকিছু দেখাতে হবে। তারপর চোখের অবস্থা দেখে ভ্রমণের জন্য সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। আবার চোখের অবস্থা খারাপ থাকলে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে চোখ ওঠা রোগের কারণে বিদেশে না গিয়ে বিমানবন্দর থেকে অনেককেই ফিরে যেতে হয়েছে। একজন যাত্রী অত্যন্ত সংক্রামক ‘চোখ ওঠা’ রোগে আক্রান্ত হলে ফ্লাইটের অন্য যাত্রীরাও ঝুঁকিতে পড়বেন। এ কারণে বোর্ডিং দেওয়া হতো না। উড়োজাহাজে অনেক যাত্রী থাকেন, কেবিন ক্রুরা থাকেন, তাঁদের সুরক্ষার জন্য এটি করা হয়। এ ছাড়া একই ফ্লাইটে অনেক যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ায় অন্যান্য দেশের বিমানবন্দর থেকেও নোটিশ এসেছে।