নরসিংদীর রায়পুরায় ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মরজালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ভোট পুনর্গনার দাবি করেছেন চার সদস্য প্রার্থী। ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ এনে তাঁরা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান।
অভিযোগকারীরা হলেন মো. সেলিম মিয়া (ফুটবল), মোমেন মিয়া (ভ্যানগাড়ী), আমির হোসেন (মোরগ) ও মোখলেছুর রহমান (টিউবওয়েল)। তাঁদের অভিযোগ ভোট গননায় প্রিসাইটিং কর্মকর্তা ও তাঁর সহযোগিরা গণনায় কারচুপি করেছেন। নিয়মানুযায়ী নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের রাতে কেন্দ্রে রাত্রিযাপন করার কথা থাকলেও, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বিজয়ী প্রার্থী আলতাফ হোসেনের সমর্থকদের বাড়িতে রাত্রিযাপন করেছেন। তাঁদের ধারণা ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন বলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। তাই তাঁরা সদস্য পদে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তবে তাঁদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোলাম রাহমান।
এ নিয়ে জানতে চাইলে, গোলাম রাহমান বলেন, ‘কেন্দ্রে কোনো ধরনের কারচুপি হওয়ার সুযোগ নেই। ভোটগ্রহন শেষে প্রকাশ্যেই ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে। আর আমার তো কেন্দ্রের বাইরে রাত্রিযাপন করার কোনো সুযোগ নেই। সারারাতই আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসনের লোকজন আসা-যাওয়া করেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে। আমাদের স্টাফদের মধ্যে অনেক নারী ছিলেন, তাদের কেউ যদি কারও বাসায় থেকে থাকেন সেটা আমার জানা নেই।’
রির্টানিং কর্মকর্তা মো. শেখ মোহাম্মদ আদিল বলেন, ‘অভিযোগ অনেকেই দিয়েছে। ভোট পুনরায় গণনার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে, যদি আদালতের রায় আসে সেই ক্ষেত্রে হতে পারে। আর আমার কোন লোক কোন প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে রাত্রিযাপন করেছে এমন কোনো অভিযোগ পাইনি।’