আশুলিয়া থেকে অপহৃত তিন বছরের শিশু সুমন হোসেনকে সিরাজগঞ্জ থেকে চলন্ত বাসে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। হয়েছে। এ সময় অপহরণের অভিযোগে আকাশী আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই শিশুকে উদ্ধার ও ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার ভোরে সিরাজগঞ্জ থেকে আশুলিয়া থানায় অপহৃত শিশু ও গ্রেপ্তার নারীকে আনা হয়।
অপহৃত শিশুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শিশু সুমনের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে সদর থানার মিঠাপুকুর এলাকায়। গ্রেপ্তার আকাশী দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানার ফুলতলা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, রিকশাচালক বাবা মো. নাহিদ ও অন্যের বাসায় কাজ করা মায়ের সঙ্গে আশুলিয়ার কুরগাঁওয়ে বসবাস করত সুমন। প্রতিদিন সুমনের মা অন্যদের বাসায় কাজ করতে চলে যান। সুমনের বাবা রিকশা নিয়ে বের হওয়ার সময় সুমনকে তার মায়ের কাছে দিয়ে যান।
গত মঙ্গলবার সুমনদের পাশের কক্ষের আকাশী আক্তার এসে তার বাবা নাহিদকে বলেন, পাশের অন্য কক্ষের রিনা বেগমের মেয়ে সুমাকে (১২) কাপড় কিনে দেওয়ার জন্য সঙ্গে করে সুমনকেও নিতে চান তিনি। সুমনের বাবা ছেলেকে আকাশীর সঙ্গে যেতে দেন।
আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় মার্কেটে গিয়ে রিনাকে আকাশী বলেন, সে ভুলে ঘরে টাকা এবং মোবাইল ফোন রেখে এসেছেন। সুমা এবং সুমনকে রেখে রিনা বাসায় ফেরত যান। পরে সুমাকে রিকশায় উঠিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন আকাশী এবং সুমনকে নিয়ে পালিয়ে যান।
সুমা একা বাসায় পৌঁছালে বিষয়টি টের পান রিনা ও সুমনের বাবা-মা। দ্রুত তারা এসে বাইপাইলে খোঁজাখুঁজি করেও সুমন ও আকাশীকে পাননি। পরে মঙ্গলবার বিকেলে আকাশী ফোন দিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এই টাকা না দিলে সুমনকে আর ফেরত না দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম, বিষয়টি জানতে পেরে আশুলিয়া থানা-পুলিশ অভিযান শুরু করে। পরে সিরাজগঞ্জ পুলিশের সহায়তায় চলন্ত বাসে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নারীকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় শিশু সুমনের বাবা নাহিদ আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন। সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আকাশীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।