হোম > ছাপা সংস্করণ

প্রধান আসামি গ্রেপ্তার ধারালো অস্ত্র জব্দ

পীরগাছা প্রতিনিধি

পীরগাছার সরকারটারীতে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূল আসামি ফারুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।

পীরগাছা থানা-পুলিশ ও রংপুর গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পাশের মিঠাপুকুরের জায়গীরহাটের আলীর মোড় থেকে গত সোমবার সন্ধ্যায় ফারুককে গ্রেপ্তার করে। গতকাল সকালে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দেশীয় অস্ত্র তাঁর বোনের বাড়ির পুকুর থেকে জব্দ করা হয়। পরে দুপুরে তাঁকে রংপুর আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করে রংপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল বলেন, দেলোয়ার হত্যাকাণ্ডে পীরগাছা থানা ও রংপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফারুককে মিঠাপুকুরের জায়গীরহাট আলীর মোড় নামক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে পুলিশকে জানান। তাঁর দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ তাঁকে নিয়ে ঘটনাস্থলের কাছে তাঁর বোনের পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রধান আসামি ফারুক পুলিশের কাছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে পরকীয়ার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। ফারুককে রিমান্ডে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানায় সূত্রটি।

দেলোয়ার (৩৮) সরকারটারী গ্রামের মৃত সবুর উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিভিন্ন সময়ে ধান, গম, ভুট্টার পাইকারি ব্যবসা করতেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেলোয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান পাশের বাড়ির ফারুক। এরপর বাড়ির পাশে রেললাইনের ধারে আগে ওত পেতে থাকা কয়েকজন দেলোয়ারকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তখন দুর্বৃত্তরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় রাতেই পীরগাছা থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফারুকের ছোট ভাই সবুজ মিয়া, শফিকুল ইসলাম ও রনজু মিয়াকে আটক করে। পরের দিন দেলোয়ারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় ফারুকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত সাত থেকে আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

পরিবারকে সহায়তা: দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া দেলোয়ারের পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফীন, পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান গত সোমবার সরকারটারী গ্রামে দেলোয়ারের বাড়িতে যান। এ সময় তাঁরা নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের হাতে উপজেলা পরিষদের অপ্রত্যাশিত খাত থেকে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন। এ সময় দেলোয়ারের দুই সন্তানের পাশে থাকার আশ্বাস দেন কর্মকর্তারা।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ