মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পুলিশের হেফাজতে থাকা হ্যান্ডকাপ পরা দুই আসামি পালিয়ে গেছেন। পালিয়ে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তাঁদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। ওই আসামি এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পুলিশ বলছে, পালিয়ে যাওয়া আসামিদের খোঁজা হচ্ছে, খুব শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। এদিকে, ওই দুই আসামির পাহারায় থাকা রাকিব ও শহিদুল ইসলাম নামের দুই পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য থানা থেকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পালিয়ে যাওয়া আসামিরা হলেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন এলাকার আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে শাহ আলম এবং একই উপজেলার গাজরা এলাকার আজমত আলীর ছেলে রাজিব মিয়া।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন শাহ আলম ও রাজিব মিয়া। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের আটক করে গণপিটুনি দেন। এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে তাঁদের দুজনের মাথা ও নাক ফেটে যায়।
পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের উদ্ধার করে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাঁদের একজনের মাথায় আটটি সেলাই এবং অপরজনের নাকে চারটি সেলাই করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। পরে তাঁদের ছেড়ে না দিয়ে চিকিৎসার জন্য পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে রাখা হয়। হাসপাতালে এ দুজনক নজরদারিতে রাখতে রাকিব ও শহিদুল ইসলাম নামের দুই পুলিশ কনস্টেবলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে পাহারায় থানা-পুলিশ সদস্যরা টয়লেট করতে বাইরে যাওয়ার পরে আসামিরা কৌশলে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যান। এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য রাকিব ও শহিদুল ইসলামকে থানা থেকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ওসি বলেন, আসামিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। আসামিরা খুবই অসুস্থ থাকায় তাঁদের বেডের সঙ্গে হ্যান্ডকাপ লাগানো ছিল না বলেও জানান তিনি।