ময়মনসিংহে বিভিন্ন প্রকার চাল কেজিপ্রতি ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা কমেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিলারদের সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে অস্থিরতা কমছে না।
মিল মালিকদের দাবি, মিলারদের মধ্যে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট নেই। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, চালের বাজারসহ পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
অতিরিক্ত দামে কোনো কিছু বিক্রি করলে জরিমানার পাশাপাশি কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলায় পাঁচ শতাধিক রাইস মিল রয়েছে। চলতি মৌসুমে মিল মালিকেরা চাহিদা অনুযায়ী ধান কিনতে পারেননি। সেই সঙ্গে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে কম ধান কিনেছেন।
ধান কেনাসহ সবকিছু প্রক্রিয়া করতে তাঁদের খরচ বেশি হওয়ায় বাজারে চালের দাম বাড়তি রয়েছে। তবে সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির ঘোষণা দেওয়ার পরই ময়মনসিংহের চালের বাজার মেছুয়া বাজারে ২৮, ২৯ এবং মিনিকেট চালের দাম কিছুটা কমেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে চাল আসা শুরু করলে দাম আরও কমবে।
মেছুয়া বাজারের চাল ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার সাহা বলেন, গত শনিবার থেকে ময়মনসিংহ অঞ্চলে কিছু চালের দাম কমেছে। আসলে চালের বাজারে যে পরিমাণ দাম কমেছে, সেটাকে কম বলা যাবে না। মিলারদের সিন্ডিকেটের কারণে আসলে কোনোভাবেই চালের দাম কমছে না। এতে সাধারণ ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ক্রেতা মজিবুর রহমান বলেন, ‘শুনেছি চালের দাম নাকি কমেছে। কিন্তু বাজারে এসে তা মনে হলো না। তবে চালের দাম নিম্নমুখী হওয়ায় মানুষ স্বস্তিতে।’
বাংলাদেশ মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল মালিক সমিতি ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘সরকার ঘোষণা দেওয়ার পর চালের দাম কমেছে। মিলারদের মধ্যে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট নেই।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘চালের বাজারসহ কাঁচা পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।