দ্বিতীয় দিনের মতো বাস-ট্রাক ও পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেছেন মালিক ও পরিবহন শ্রমিকেরা। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে গতকালও একই চিত্র দেখা যায়।
গতকাল সকাল থেকে সিরাজগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনাল ও বাস কাউন্টার থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ ছিল। অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লা রুটের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন হাজার যাত্রী। এদিকে বাস বন্ধ থাকায় বাস টার্মিনালে এসে বিভিন্ন জেলার দূরপাল্লার যাত্রীদের ফিরে যেতে দেখা যায়।
যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও ছোট যানবাহন বিশেষ করে সিএনজি, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলে। তবে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে তিন-চার গুণ। ফলে বাধ্য হয়েই বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে যাত্রীদের।
এদিকে গত শনিবার সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ যানবাহন না থাকার কারণে মহাসড়ক পুরোটাই ফাঁকা দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলে চলাফেরা করতে দেখা গেছে অনেককে। এ জন্য তাঁদের গুনতে হয়েছে কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া।
বাস কাউন্টারে আসা কয়েকজন ভুক্তভোগী যাত্রী জানান, হঠাৎ গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে গন্তব্যস্থলে যেতে না পারায় তাঁদের চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে সময় কাটাতে হচ্ছে। পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে যাত্রীরা।
এদিকে শ্রমিক ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজা বলেন, তেলের দাম স্থিতিশীল না রাখলে সরকারকে ভাড়া বৃদ্ধি করে দিতে হবে, তা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘট চলমান থাকবে।
সিরাজগঞ্জ বাসমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। জেলায় জেলায় আলাদাভাবে মালিকেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।’
ধর্মঘট কত দিন চলবে জানতে চাই তিনি বলেন, ‘আজ ৭ নভেম্বর ঢাকায় একটি জরুরি মিটিং হওয়ার কথা। মিটিংয়ের পর বলা যাবে ধর্মঘট কবে থেকে প্রত্যাহার হচ্ছে। তবে তেলের দাম না কমানো পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান থাকবে।’