যত তাঁকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়, ততই যেন তাঁর থোড়াই তোয়াক্কা করার অভিব্যক্তি। সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আবার আলোচনা। বড় অঙ্কের ডলারের বিনিময়ে সতীর্থ তাসকিন আহমেদকে নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন—খবরটা দুই দিন ধরে সিডনিতে ‘ওপেন সিক্রেট’ই ছিল। সেটি বেশি আলোচিত হলো প্রোটিয়াদের কাছে বাজেভাবে হারের পর।
দলের হার আর তাঁকে নিয়ে নেতিবাচক আলোচনায় সাকিবকে যেন আরও ফুরফুরে আর নির্ভার দেখাল। চোখে সানগ্লাস, মুখে একটা হাসি ধরে রেখে গতকাল সিডনি থেকে ব্রিসবেনে এলেন। ব্রিসবেন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন দলের সঙ্গে থাকা বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনাপ্রধান জালাল ইউনুস। টেস্টের মতো বাংলাদেশ যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটও ঠিকঠাক খেলতে পারে না, এই গোলকধাঁধা থেকে বের হওয়ার উপায় কী? সমাধানের উপায় হিসেবে জালাল ইউনুস জানালেন, তাঁরা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বেশি বেশি বিদেশি লিগ খেলার সুযোগ করে দেবেন। কথাটা শুনে সবচেয়ে বেশি খুশি হওয়ার কথা সাকিবেরই। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিই বেশি বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার সুযোগ পান। জালালের কথাটা সাংবাদিকদের সঙ্গে সাকিবও তাই মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখলেন। জালাল বলছিলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটাররা যাতে বাইরে আরও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারে, সে সুযোগ আমরা করে দেব। কারণ, এটি এখন খুব জনপ্রিয়।’
এই বিশ্বকাপও তাহলে বাংলাদেশ দলের একটি ‘শিক্ষাসফর’ হয়ে থাকছে! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিংসহায়ক উইকেট পেয়েও হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়াই শুধু নয়, গত এক বছরে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স দেখে কখনোই মনে হয়নি তারা ২০ ওভারের ক্রিকেটটা খেলতে জানে। অথচ অস্ট্রেলিয়ায় এবার বিশ্বকাপ কী দারুণ জমিয়ে তুলেছে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসের মতো দল।
ব্রিসবেনে আগামীকাল বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে জিম্বাবুয়েকে। এক দিন আগেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ‘২ পয়েন্ট পেতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না’ ভাবনা কাজ করলেও গত পরশু রাতে পাকিস্তানবধের পর সেই পরিস্থিতি আর নেই। গ্যাবায় জিম্বাবুয়েও অনেক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে হচ্ছে সাকিবদের।