হোম > ছাপা সংস্করণ

কৃষকের মুখে সূর্যমুখীর হাসি

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

সূর্যমুখী চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন বগুড়া সারিয়াকান্দির কৃষক। ভালো তেল পেতে সূর্যমুখীর চাষ বেড়েছে। এদিকে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং নিজেকে সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী করতে ছুটছেন অনেকে।

সমগ্র উপজেলাতেই সূর্যমুখী চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে ভেলাবাড়ী ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নের বাঙালি নদীর ওপর নির্মিত জোড়গাছা সেতুর ওপর থেকে উত্তরে চোখ দিলে দেখা যায় দৃষ্টিনন্দন কয়েকটি সূর্যমুখীর খেত।

কথা হয় ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের কৃষক সাহেব আলীর ছেলে এরশাদ আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, সার বীজ সংগ্রহ করে জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। এ বছর তিনি এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। সর্বমোট খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন তাঁর জমি থেকে তিনি প্রায় ৭ মণ সূর্যমুখী বীজ পাবেন। বর্তমানে প্রতি মণ সূর্যমুখী বীজের দাম ৪ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, সূর্যমুখী বীজ নিতে এখনই তাঁকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে।

যে জমিতে এক সময় ছিল সবুজ গমের খেত, সেখানে এখন হাসছে সূর্যমুখী ফুল। প্রথমবারের মতো বগুড়ার সারিয়াকান্দি ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামে সূর্যমুখী ফুলের অনেক চাষ করা হয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ও খৈল উৎপাদন করা হয়। পাশাপাশি পুষ্টিকর সবজি হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। তা ছাড়া এই ফুলের মাধ্যমে মৌচাক বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক মধু উৎপাদন করা সম্ভব। সূর্যমুখী বীজ রোপণের ৯০-১০৫ দিনের মধ্যেই কৃষকেরা ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারেন। প্রতি বিঘা জমিতে ছয় থেকে সাত মণ বীজ পাওয়া যাবে।

জোড়গাছায় সূর্যমুখী ফুলের খেত দেখতে আসা সজল শেখ বলেন, ‘ফুলের বাগান এখানে এই প্রথম হওয়াতে আমরাও এসেছি সূর্যমুখীর সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হতে। খুবই ভালো লাগছে।’

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাফিউল আলম জিকো বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম। এতে সার ওষুধ কম লাগে। তেমন পরিচর্যাও করতে হয় না। পুষ্টি চাহিদা পূরণে সূর্যমুখী তেলের জন্য বিদেশ থেকে এর বীজ আমদানি করতে হয়। প্রতি কেজি সূর্যমুখী বীজ হতে প্রায় আধা লিটার সূর্যমুখী তেল পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল হালিম জানান, এ বছর সমগ্র উপজেলায় ৩৫০ চাষির মধ্যে সূর্যমুখী বীজ এবং সার দেওয়া হয়েছে। সারা উপজেলায় সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হেক্টর। যার শতভাগ অর্জিত হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ