হোম > ছাপা সংস্করণ

মিডল অর্ডারে সাকিবরা এগিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের বড় চিন্তার জায়গা ওপেনিং জুটি দ্রুত ভেঙে পড়া। গত এক বছরে ওপেনারদের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিতে অধিকাংশ ম্যাচেই ঢাল হয়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। 

এ বছর মাত্র এক ওয়ানডেতে ৫০ পেরোনো জুটি গড়তে পেরেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। গত মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস তুলেছিলেন ১০২ রান। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের আগে এটাকে বড় চিন্তার বিষয় মনে করেন না বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না উদ্বেগের কিছু আছে। আমরা যে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার কথাটা বলছিলাম, সেটা গত দুই-তিন সিরিজ ধরে খেলছি। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে গেলে কিন্তু ক্রিকেটারদের সমর্থন করতেই হবে।’ 

ওপেনিংয়ের ব্যর্থতার বিপরীতে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাওহীদ হৃদয়ে গড়া বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার হয়ে উঠেছে এশিয়ার সেরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া সব দলের মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি রান তুলেছে বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারের ৪ থেকে ৬ নম্বরে ১৯ জুটিতে ৩১ ইনিংসে ৪২.৫০ গড় ১২৭৫ রান করেছে তারা। বিশ্বকাপের দলগুলোর মধ্যে এরপরই আছে ভারত, ২২ জুটিতে ৩৩ ইনিংসে ৩৫.৮২ গড়ে ১০৩৯ রান তাদের। 

লম্বা সময় ৪ নম্বর পজিশনে খেলা মুশফিক ৬-এ নেমে ধারাবাহিক রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন। এ বছর ১০ ইনিংসে ৫৫.৭৫ গড়ে ৪৪৬ রান তাঁর। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি (৬০ বলে) এসেছে তাঁর এ সময়েই। সাকিব করেছেন ১০ ইনিংসে ৩৭৬ রান, ৩৭.৬০ গড়। দুই অভিজ্ঞ মুশফিক ও সাকিবকে নির্ভার খেলার সুযোগ করে দিচ্ছে ২২ বছর বয়সী হৃদয়ের ধারাবাহিক আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। ৮ ইনিংসে ৪৮.২৮ গড়ের ৩৩৮ রান তাঁর। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করা তিনজনের স্ট্রাইক রেট ১০০ ছুঁই ছুঁই। এ বছর মিডল অর্ডারে পজিশনে এশিয়ার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তাঁরা। এশিয়ার সবচেয়ে সফলও সাকিব-হৃদয়ের ৪ নম্বর জুটি। ৩ ইনিংসে ৭০.৬৬ গড়ে ২১২ রান তুলেছেন দুজন। 
মিডল অর্ডারে ধারাবাহিক ভালো করার ব্যাখ্যায় গতকাল হাবিবুল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘গত কিছুদিনে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তামিম-লিটনের ওপেনিং জুটি অনেক দলের চেয়ে ভালো করেছে। এদের ভালো করার কারণে মাঝের ওরা আরও ভালো করার সুযোগ পেয়েছে। আর হৃদয় আসার পর আমাদের খেলার ট্রেন্ডও বদলেছে।

 যে খেলাটা আপনি খেলতে চান, সেটি খেলতে হলে ওই ধরনের খেলোয়াড় আপনার দরকার। তাওহীদ হৃদয় আসার পর রানিং বিটুইন দ্য উইকেট, আক্রমণাত্মক ব্যাটিং হচ্ছে এই জায়গাটাতে। মুশফিক-সাকিব তো অনেক দিন ধরেই ধারাবাহিক। সুবিধা যেটা হয়েছে, শান্ত-লিটন-হৃদয় আসায় ওরা আরও নির্ভার হতে পেরেছে। সব সময় ৪ নম্বর পজিশনে খেললেও মুশফিকও এখন ৬-এ থিতু হয়ে গেছে, আশা করি এ ভূমিকা সে উপভোগ করছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ