বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের ত্রিমুখী কদমবাড়ী গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল সফল এক সবজিচাষি। ৩০ বছর ধরে সবজি চাষ করছেন তিনি। এই শীতে তাঁর জমি হাসছে হরেক জাতের সবজিতে।
সরেজমিন জানা যায়, এক একর জমিতে সবজি চাষ করেছেন কৃষক নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল। তাঁর চাষ করা শীতকালীন সবজির মধ্যে আছে শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মিষ্টি কুমড়া, গোলমরিচ, কাঁচা মরিচ, মিষ্টি আলু, শিম, টমেটো, মুলা প্রভৃতি। এ ছাড়া চাষ করেছেন পালংশাক, কুমড়াশাক, লাউশাকসহ হরেক ধরনের শাক।
নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল জানান, ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে নানা জাতের সবজি চাষ করছেন। তাঁর আয়ের প্রধান উৎস সবজির চাষাবাদ। এ ছাড়াও ধান চাষ করেন। এ বছর শুধু শালগম বিক্রি করে আয় করেছেন ১ লাখ টাকার বেশি। শালগমের পাশাপাশি অন্যান্য সবজি বিক্রি করেছেন প্রায় ২ লাখ টাকার। মিশ্র চাষ মানে একটা সবজির সঙ্গে অন্য সবজি একই জমিতে চাষ করেও সফল হয়েছেন তিনি।
নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের গ্রামে অধিকাংশ লোকই সবজির আবাদ করেন। আমি ছাড়াও অন্যান্য চাষিরা কৃষি ও সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। কৃষি কার্যালয় থেকে বেশি করে বীজ ও সার দেওয়া হলে ভালো হতো।’
বিশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম শান্ত বলেন, ‘এবারের শীতে আমি প্রত্যেক ওয়ার্ডে ঘুরে দেখেছি শীতকালীন সবজি চাষ করে চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।’
বানারীপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, ‘বানারীপাড়া উপজেলায় বিশারকান্দি ইউনিয়ন কৃষিক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে। যাতায়াত সমস্যার কারণে সব জায়গায় যাওয়া কঠিন। তারপরও নৌকার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করি।’