নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
রাণীনগর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত) রেজাউল করিম জানান, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ৭৪টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ১১ নভেম্বর ভোট হবে। ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু কাশিমপুর ইউনিয়নে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন আকন্দ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি কেন্দ্র বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের মধ্যে একডালা ইউনিয়নে ২টি বেশি ঝুঁকিপূর্ণসহ ৬টি, পারইল ইউনিয়নে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ২টি সহ ৬টি, কালীগ্রাম ইউনিয়নে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ১টিসহ ৬ টি, বড়গাছা ইউনিয়নে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ১ টিসহ ৫টি, খট্রেশ্বর ইউনিয়নে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ১টিসহ ৬টি, কাশিমপুর ইউনিয়নে ৪টি, গোনা ইউনিয়নে ৬টি এবং মিরাট ইউনিয়নে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ১টিসহ ৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ভোটাররা যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন এ জন্য ৮টি ইউনিয়নে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়া মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স, কুইক রেসপন্স টিম এবং জুডিশিয়াল ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। আসা করছেন, অবাধ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হবে।