নীলফামারীর সৈয়দপুরে বেড়ে গেছে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রায় ঘরেই এখন এ ধরনের রোগী। তবে, আক্রান্তদের মধ্যে ভীতি থাকলেও করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ নেই।
চিকিৎসকেরা জানান, উপজেলায় কয়েক দিন ধরে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সর্দি-জ্বর বেড়েছে। করোনার এই সময়ে যে কারণেই সর্দি-কাশি-জ্বর দেখা দিক না কেন, অবহেলা না করে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর বেশির ভাগ রোগীই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এ ছাড়া জ্বর নিয়েও অনেকে বাজারসহ জনসমাগম হয়, এমন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিষয়টিকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন চিকিৎসকেরা।
জানা গেছে, উপজেলার বেশির ভাগ বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত। তাঁদের বেশির ভাগই বাইরের দোকান থেকে উপসর্গের কথা বলে ওষুধ কিনে সেবন করছেন। এভাবে ইতিমধ্যে অনেকে সুস্থ হয়েও উঠছেন। আবার কেউ কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পৌর ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার ইলিয়াস হোসেন (৫৫) জানান, তাঁর বাড়িতে কাজ করছিলেন এক রাজমিস্ত্রি (৩৫)। সামান্য জ্বর নিয়েই তিনি দুই দিন বাড়িতে কাজ করেন। এ অবস্থায় তাঁকে কাজে আসতে নিষেধ করি। এর একদিন পর থেকেই আমার স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়। এখন আর জ্বর নেই। তবে, শরীর খুব দুর্বল।
সৈয়দপুর শহরের ওষুধ বিক্রেতারা জানান, সর্দি-কাশি-জ্বরের ওষুধ বিক্রি বেড়ে গেছে। যা অবস্থা, তাতে মনে হয় এখন ঘরে ঘরে জ্বর। এ ধরনের বেশির ভাগ রোগী বা স্বজন চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে তাঁদের কাছে এসে উপসর্গের কথা বলে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছেন।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. নবিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলায় সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আমাদের বহির্বিভাগে এখন প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ জন রোগী আসছেন। এসব রোগীর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত। ওষুধ সেবনে ভালো হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া আমরা লক্ষ করছি, অনেক রোগীরই উচ্চ তাপমাত্রা অর্থাৎ ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর উঠে যাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ ওষুধে তিন থেকে চার দিনে তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন।’