জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির অজুহাতে পরিবেশ ধ্বংসের কারণে বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গলছে মেরু অঞ্চলের বরফ। বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, ফলে ডুবে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল। এ ধরনের ঝুঁকির কেন্দ্রে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপ দেশগুলো। ভূরাজনৈতিক কারণে এই অঞ্চলের দেশগুলোকে কাছে পেতে প্রতিযোগিতা করছে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি ও সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তাই এসব দেশের কাছে বড় ধরনের জলবায়ু সহায়তা চেয়েছে দেশগুলো।
ফিজির রাজধানী সুভাতে গত বৃহস্পতিবার শেষ হয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলটির দেশগুলোর জোট ‘প্যাসিফিক আইল্যান্ড ফোরামের’ চার দিনের শীর্ষ সম্মেলন। অনুষ্ঠান শেষে এক প্রস্তাবিত যৌথ ইশতেহারে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে বলা হয়, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে আমরা। এসব ক্ষতি মেটানোর মতো অর্থ আমাদের নেই। তাই আমাদের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের ঘুঁটি না বানিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।’ তা ছাড়া, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মুখে নিজেদের ঐক্য আরও দৃঢ় করারও ঘোষণা দিয়েছেন ফোরামটির নেতারা।
অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, কিরিবাতি, টুভালু, সলোমন দ্বীপপুঞ্জসহ ফোরামের ১৭টি সদস্য দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রশান্ত মহাসাগরের প্রায় তিন কোটি বর্গকিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খাওয়া মাছ টুনার অর্ধেক সরবরাহ এখান থেকেই আসে।