ঠাকুরমাকে (দাদি) দাহ করতে গিয়ে পুকুরে ডুবে সাগর চক্রবর্তী (১৭) নামের এক কিশোর। গতকাল শুক্রবার ভোরে সাভারের নামাবাজার এলাকায় পঞ্চবটি আশ্রমে এ ঘটনা ঘটে। পরে একই শ্মশানে সাগরকেও দাহ করা হয়।
নিহতের নাম সাগর চক্রবর্তী (১৭)। তিনি সাভার মধ্যপাড়ার মন্ঠু চক্রবর্তীর ছেলে। সাগর এবার স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে সাগরের ঠাকুরমা অনিমা চক্রবর্তী (৮০) মারা যান। রাতেই দাহ করার জন্য তাঁর লাশ নেওয়া হয় সাভার পৌর শ্মশানে। অন্যদের সঙ্গে সাগরও শ্মশানে যান। দাহ শেষে শ্মশানে উপস্থিত সবাই পাশের পঞ্চবটি আশ্রমের পুকুরে গোসল করতে যান। তাঁদের সঙ্গে সাগরও গোসল করতে নামলে সে নিখোঁজ হয়।
সাগরের কাকা মৃদুল চক্রবর্তী বলেন, গোসল শেষে সকলে তীরে উঠে আসলেও সাগরকে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রথমে সে বাড়ি চলে গেছেন মনে করা হলেও পুকুরের তীরে তার স্যান্ডেল পাওয়া যায়। এতে ধারণা করা হয় সে পুকুরের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে। কারণ সাগর সাঁতার জানত না।
মৃদুল চক্রবর্তী বলেন, সাগরকে না পেয়ে বিষয়টি সাভার ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোর ছয়টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে একই শ্মশানে সাগরকে দাহ করা হয়।
সাভার ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে বিষয়টি প্রধান কার্যালয়কে জানানো হয়। পরে টঙ্গী থেকে ডুবুরি এসে সাগরের লাশ উদ্ধার করে।