বেন স্টোকস-ব্রেন্ডন ম্যাককালামের এই ইংল্যান্ড আমূল বদলে যাওয়া দল। যাদের মূলমন্ত্র আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। এই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেই বাজিমাত করেছে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক জো রুট আর কোচ ক্রিস সিলভারউডের অধীনে সর্বশেষ ১৭ টেস্টে ইংল্যান্ড যেখানে জিতেছিল মাত্র একটিতে, সেখানে ইংলিশদের ‘বাজবল ক্রিকেট’ শুরুর পর ১৭ টেস্টের ১২টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। আগে-পরের সাফল্যে ঠিক উত্তর মেরু-দক্ষিণ মেরুর তফাত। এই সাফল্যকে বাজবল বিপ্লবের ফল হিসেবেই দেখছে ইংলিশ গণমাধ্যম।খেলোয়াড়ী জীবনে আগ্রাসী ব্যাটসম্যান ছিলেন
ম্যাককালাম। তাঁর ডাক নাম ‘বাজ’। তাঁর অধীনে রুটের জায়গায় টেস্ট নেতৃত্বে ফেরেন ‘পরিস্থিতির চাহিদা’ অনুযায়ী ব্যাটিং-বোলিং—সবই করতে পারা অলরাউন্ডার স্টোকস। দুজনের সম্বন্বিত প্রচেষ্টাতেই বদলে যায় ইংল্যান্ড। আগ্রাসী ক্রিকেট গত ইংলিশ সামারে ৭ টেস্টের ৬টিই জেতেন ইংলিশরা। ওই ৬ টেস্টের সব কটিতেই ২০টি করে উইকেট নেন ইংলিশ বোলাররা। আর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পসরা বসিয়ে দ্রুত গতিতে রান তোলেন ব্যাটাররা। আগ্রাসন ছিল ফিল্ড প্লেসিংয়েও। আর এসব পরিবর্তন ছিল সহজেই চোখে পড়ার মতো। যা চোখ এড়াইনি ক্রিকইনফোর যুক্তরাজ্য সংস্করণের সম্পাদক অ্যান্ড্রু মিলারের। ম্যাককালামের ‘বাজ’ ডাকনামের সঙ্গে মিলিয়েই তিনিই প্রথম এক পডকাস্টে ব্যবহার করেছিলেন ‘বাজবল’ শব্দটার। টেস্টে ইংলিশদের আগ্রাসী, অপ্রতিরোধ্য এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পর এখন তো ইংলিশ ক্রিকেটের এই পুনরুত্থানকে বলা হচ্ছে ‘বাজবল বিপ্লব’!
স্টিভ স্মিথ এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, এটির বড় একটা পরীক্ষাই হয়ে যাবে সিরিজে, ‘বাজবলের শুরুর সময়ে আমিই প্রথম বলেছিলাম যে আমাদের বিপক্ষে এটা কেমন কাজ করে তা আমি দেখতে আগ্রহী। নিঃসন্দেহে তারা কোনো কোনো দলের আক্রমণভাগের বিরুদ্ধে ভালো করেছে। কিন্তু আমাদের বিপক্ষে লড়াইয়ের এখনো বাকি।’