হোম > ছাপা সংস্করণ

তিন মাসের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি সাড়ে চার বছরেও

দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

আওয়ামী যুবলীগের দৌলতপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ৯০ দিনের জন্য ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৭ সালের জুলাই মাসে। এরপর কেটে গেছে সাড়ে চার বছর। এরই মাঝে ৯০ দিনের মেয়াদ ফুরিয়ে বাড়তি ৪ বছর ৩ মাস পার হলেও নতুন কমিটি ঘোষণার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অনেকেই বলে থাকেন, যুবলীগের এই কমিটিতে জং ধরেছে। তবে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কদের দুষছেন অনেকেই। দীর্ঘদিন ধরে একই কমিটি জেঁকে বসে থাকায় হতাশায় ভুগছেন পদপ্রত্যাশীরা।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মানিকগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব ইউনিয়ন কমিটি গঠন করে উপজেলা যুবলীগ শাখার সম্মেলন শেষ করবে। বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির মেয়াদ ৯০ দিন সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও পার হয়ে গেছে সাড়ে চার বছর। ২০১৮ সালে একবার সম্মেলনের কথা থাকলেও পরে আর কোনো উদ্যোগ নেননি আহ্বায়ক কমিটির নেতা-কর্মীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির এক সদস্য জানান, বর্তমান কমিটির বেশির ভাগ সদস্য বিভিন্ন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। অনেকেই কৃষক লীগ ও সৈনিক লীগের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। বাকি যারা ছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই দৌলতপুরে থাকেন না। তিন চারজন নেতা দিয়ে চলছে উপজেলা যুবলীগ।

উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান টিটু বলেন, ‘আমরা ৯০ দিনের মধ্যে ইউনিয়ন কমিটি শেষ করেছিলাম। পরবর্তীতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা এসেছিল ওয়ার্ড কমিটি করার। আমরা ওয়ার্ড কমিটিগুলো শেষ করেছি। এখন ইউনিয়ন কমিটিগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তার পরও কেন্দ্র ও জেলা থেকে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে, আমরা তা-ই করব।’

দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির শাওন বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে আমরা জমায়েত করতে পারি নাই। তার পর সংসদ নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও বিলম্বের একটা কারণ। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইউনিয়ন কমিটি সম্পন্ন করেছিলাম। পূর্ণাঙ্গ একটা কমিটি হলে এর মধ্যে অনেক নতুন নেতৃত্ব তৈরি হয়, দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া যায়। আমি চাই সম্মেলনের মাধ্যমে ভালো একটা কমিটি আসুক।’

জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা বলেন, ‘দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি আগের কেন্দ্রীয় কমিটির দেওয়া। পরে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি হয়েছে ও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সম্মেলন করা সম্ভব হয় নাই। দেশের অবস্থা একটু স্বাভাবিক হলেই সম্মেলনের ব্যবস্থা করা হবে।’ 
দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক বলেন, ‘যুবলীগ আওয়ামী লীগের অন্যতম শক্তিশালী সহযোগী সংগঠন। সময়মতো সম্মেলন না হলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে কাজের গতি থাকে না। দ্রুত উপজেলা যুবলীগের কাউন্সিল করার জন্য বলব।’ 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ