হোম > ছাপা সংস্করণ

খাবার খেলেন উঠে দাঁড়ালেন আকিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

প্রতিপক্ষের হামলায় মাথায় গুরুতর জখম নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (চমেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগ কর্মী মাহাদি আকিবের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি উঠেও দাঁড়িয়েছেন। তরল খাবার খেতে পারছেন।

চমেকের অধ্যাপক ও ক্লিনিক্যাল নিউরোসার্জন এবং নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর (আকিব) অবস্থা আরও উন্নতি হয়েছে। আজকে থেকে তরল খাবার দেওয়া হয়েছে। সে খাবার খেয়েছে। উঠে দাঁড়িয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে হাতও মিলিয়েছেন (হ্যান্ডশেক)।’

খালেদ চৌধুরী বলেন, আকিবের মাথার একটি হাড়ের অংশ অপারেশন করে পেটে চামড়ার নিচে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। আরও উন্নতি হলে সেই অংশটি পুনরায় অপারেশন করে জোড়া লাগিয়ে দেওয়া হবে।

আকিবের বাবা গোলাম ফারুক মজুমদার বলেন, ‘আজকে (বুধবার) আকিবের সঙ্গে কথা বলেছি। মাথায় এখনো ব্যথা আছে বলে জানিয়েছে। চিকিৎসকেরা এগুলো স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন।’ ছেলের এই অবস্থার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচার চান কুমিল্লা জিলা স্কুলের এই সহকারী শিক্ষক।

ছাত্রলীগ কর্মী আকিব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৬২তম ব্যাচের ছাত্র। কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সকালে চমেকের মেইন গেটের অদূরে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে তাঁর ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আকিবের গলায় রিকশার চেইন দিয়ে পেচিয়ে মাথায় কাচের বোতল দিয়ে আঘাত করা হয়। রামদা দিয়ে কোপানো হয় মাথায়। পরে হকিস্টিক দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়।

পাল্টাপাল্টি মামলা

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এবার মামলা করেছে আরেক পক্ষ। গতকাল সকালে নগরীর চকবাজার থানায় চমেক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী ইমন সিকদার বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এর আগে চকবাজার থানায় মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে নওফেল অনুসারী ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মাহমুদুল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

পরে আকিবকে মারধরের ঘটনায় ১৬ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন মহিবুল হাসান চৌধুরীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান। মামলাটি করা হয় নগরীর পাঁচলাইশ থানায়।

আসামিরা হলেন আহসানুল কবির রুমন (২১), জাহিদুল ইসলাম জিসান (২২), ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (২২), মো. আনিছ (২১), নাইমুল ইসলাম (২২), মো. ইফরাইন (২৩), এইচ আর মাহফুজুর রহমান (২৩), সাদ মোহাম্মদ গালিব (২১), মাহতাব উদ্দিন রাফি (২১), আসেফ বিন তাকি রিফাত (২১), তৌহিদুল হাসান তন্ময় (২৩), আহমেদ ফয়সাল (২১), পল্লব বিশ্বাস (২৩), মাহাদি বিন হাশিম, আল আমিন ইসলাম শিমুল ও মিনহাজ আরমান লিখন।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস জাহান বলেন, চমেকে মারামারির ঘটনায় শিক্ষার্থী ইমন সিকদার বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। কেউ গ্রেপ্তার নেই এখনো।

মামলার বাদী ইমন সিকদার বলেন, ‘গত ২৯ অক্টোবর রাত ১০টায় চমেকের ছাত্রাবাসের নিচতলায় আমাদের পাঁচ-সাতজনকে দা, ছোরা, কিরিচ, রড, হকিস্টিক দিয়ে এই ১৬ জন হামলা করে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ