‘এক কেন্দ্রে যতগুলো ভোট আছে নৌকায় ততগুলো সিল পড়বে। অন্য কোনো প্রতীকে ভোট হবে না। নৌকায় সিল মারতে হবে প্রকাশ্যে টেবিলের ওপর’—এই বক্তব্য গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাইয়ের। তাঁর একটি বক্তব্য সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
গত শুক্রবার রাতে ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউপির পাথাইকান্দি বাজারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকারের নির্বাচনী প্রচারে তিনি এ বক্তব্য দেন। তাঁর এ বক্তব্যের ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘নৌকায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হবে। ভোট না দিলে কোনো উন্নয়ন হবে না। অন্য কোনো মার্কায় কেউ ভোট দেওয়ার চেষ্টা কইরেন না। কাল থেকে মাসুদ (বিদ্রোহী প্রার্থী) জানি এলাকায় আসতে না পারে। আবোল-তাবোল মার্কায় আমরা কেউ ভোট দেব না, তাঁর নির্বাচনও করব না।
পুলিশ প্রশাসনসহ যেখানে যা লাগে সব আমি দেখব। ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ হাজার ১০০ ভোট। যদি ৩ হাজার ৫০০ ভোটও কাস্ট হয়, আমরা ওপেনে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব।’
ওই পথসভায় অংশ নিয়েছেন এমন অনেকেই জানিয়েছেন, নৌকা প্রতীকের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচন করলে তাঁকে পেটানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আব্দুল হাই।
নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধির এই বক্তব্য ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকে এর সমালোচনাও করেছেন।
এ বিষয়ে গোহালিয়াবাড়ি ইউপি আব্দুল হাই আকন্দের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ নৌকার লোকদের মারার কারণে রাগে বলে ফেলেছি।’
কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার বলেন, যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, এটা শুনেছি। এটা বলা ঠিক হয়নি, অন্যায় হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার থাকলে জেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন আব্দুল হাই আকন্দ। ২৬ ডিসেম্বর ভূঞাপুরের নিকরাইল ইউপিতে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।