মিঠাপুকুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সামনে রেখে সমর্থন আদায়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাঁরা দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোটারদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন।
মিঠাপুকুরে এখনো নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। এখানে ষষ্ঠ ধাপে ভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম এ হান্নান।
তফসিল ঘোষণা না হলেও বসে নেই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নানা কৌশলে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারের অন্যতম কৌশল হয়ে দাঁড়িয়েছে দোয়া নেওয়া। নির্বাচন করতে আগ্রহীরা হাটবাজার, রাস্তাঘাট, ফসলের মাঠে ব্যস্ত কৃষক, এমনকি ঘরে ঘরে গিয়ে দোয়া চেয়ে নিচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, সম্ভাব্য সব প্রার্থীর প্রচারের কৌশল এক নয়। কেউ খুব সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুরুব্বি ভোটারদের দোয়া নিচ্ছেন। কেউ আবার কয়েকটি পরিবারকে এক জায়গায় একত্রিত করে আলোচনা এবং মিষ্টিমুখ করিয়ে দোয়া চাচ্ছেন।
অনেকে গ্রামের মসজিদ ও মন্দিরে অনুদান দিচ্ছেন। কেউ কেউ চলাচলের অনুপযোগী সড়ক সংস্কার করে দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন।
মিঠাপুকুরে জনসংযোগকারী প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের মারুফা আক্তার মিতু। তিনি দুর্গাপুর ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে সাহায্য-সহযোগিতাও করছেন।
মারুফা বলেন, তাঁর সংসার নেই। জনগণের সেবা করতেই তিনি জনপ্রতিনিধি হতে চান।
আগ্রহীদের জনসংযোগ ও পোস্টার লাগানোর পাশাপাশি তাঁদের অতিথি করে খেলাধুলার আয়োজন, জিলাপি খাওয়া, চায়ের আসর, সব মিলিয়ে উপজেলায় নির্বাচনী উৎসব বিরাজ করছে।