নোয়াখালীর সুধারাম থানাসংলগ্ন ট্রাফিক পুলিশের মেসে ধর্ষণের শিকার তরুণী (২৩) আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি ঘটনার বর্ণনা দেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মুকবুল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে।
গতকাল বিকেলে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক নুর জাহান। এদিকে ভুক্তভোগী তরুণী রাজি না হওয়ায় তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা করা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম। তিনি বলেন, এক আবেদনে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ডাক্তারি পরীক্ষার আলামত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলেও তিনি নমুনা দিতে রাজি হননি। তাই পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। গতকাল বিকেলে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। আজ রোববার সকালে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তাঁকে ঢাকা নেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মুকবুল হোসেন তাঁদের মেসের বাবুর্চির কক্ষে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় তাঁর সহযোগী ছিলেন তিনজন। পরে ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে সুধারাম থানায় মুকবুল হোসেনসহ চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তাঁদের সবাই জেলা কারাগারে রয়েছেন।