পাইকারি বাজারে দাম কম থাকলেও নীলফামারীর খুচরা বাজারে দু-তিন গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের সবজি। এবাবে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। অপরদিকে চাষিরা বঞ্চিত হচ্ছেন সবজির ন্যায্যমূল্য থেকে। তবে খুচরা বিক্রেতারা জানান, আড়ত থেকে সবজি ক্রয় করে বাজারে আনতে পরিবহন, কুলি, ট্যাক্স ও কর্মচারী খরচ রয়েছে। তা ছাড়া কাঁচামালে ঘাটতি হয়।
গতকাল বুধবার সৈয়দপুরের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৪ টাকা, শিম ১২ টাকা, নতুন আলু ১৭ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, পটোল ১২ টাকা, ফুলকপি ১৭ টাকা, বরবটি ২০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে শহরের খুচরা বাজারের বিক্রেতারা প্রতি কেজি বেগুন ১৫ টাকা, শিম ৩০ টাকা, নতুন আলু ২৪ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, পটোল ৩০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শাষকান্দর গ্রামের ফুলকপি চাষি আতাউর রহমান বলেন, ‘জমি থেকে ফুলকপি তুলে পাইকারি বাজারে প্রতি মণ ৫০০-৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকাররা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন ৭০০-৭৫০ টাকা। ওই কপি খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ১২০০-১৪০০ টাকা দরে।’
সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী বলেন, এতে চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম যেমন পাচ্ছেন না, তেমনি সাধারণ ক্রেতারা পণ্য কিনে ঠকছেন। অযাচিতভাবে লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নীলফামারী জেলার সহকারী পরিচালক সামসুল আলম জানান, ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী ২ / ৩ দিনের মধ্যে সৈয়দপুরের পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।