বাজারে আমন মৌসুমের নতুন চাল ওঠা শুরু হয়েছে। তবে এর প্রভাবে দাম কমছে না পণ্যটির। বরং গতবারের চেয়ে এবার কেজিপ্রতি তিন থেকে চার টাকা বেশি দামে আমন চাল বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পুরান ঢাকার বাবুবাজারের পাইকারি দোকানগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে তিন-চার দিন ধরে নতুন বিআর-২৮ চালের সরবরাহ শুরু হয়েছে। বর্তমানে নতুন চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা গত বছর মৌসুমের শুরুতে ছিল ৪৬-৪৭ টাকা।
বাবুবাজারের একটি পাইকারি দোকানের ব্যবস্থাপক মোতাহার হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার তাঁদের দোকানে বিআর-২৮ চাল উঠেছে। শেরপুর থেকে এ চাল এসেছে। চালকলের মালিক প্রতি কেজি চালের দাম ৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নির্ধারিত দামে বিক্রি হলে কেজিতে এক টাকা লাভ থাকবে তাঁদের। একই বাজারের ‘মেসার্স মা-বাবার দোয়া রাইস এজেন্সি’র স্বত্বাধিকারী মনির হোসেন জমাদার বলেন, গত বছর আমন মৌসুমের শুরুতে বিআর-২৮ চাল কেজিপ্রতি দাম ছিল ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা। এ বছর শুরুতে দাম বেশি।
জানতে চাইলে শেরপুরের চালকল মিলমালিক ওএমআর রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মোস্তাক আহমেদ বলেন, এ বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চালের দাম বাড়তি। গত বছর এ সময় প্রতি ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা চালের দাম ছিল ২ হাজার ২৫০ টাকা, এ বছর ২ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
মুস্তাক জানান, ঢাকায় পাঠাতে বর্তমানে ট্রাকভাড়া ১৬ হাজার টাকা, যা আগে ছিল ১৩ হাজার টাকা। হরতাল-অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পরিবহন ভাড়া অনেকটাই বাড়তি। এ কারণে চালের দামও বাড়তি।
রাষ্ট্র বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর হিসাব অনুযায়ী, গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চলে এলে বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে মনে করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনের সভাপতি গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজনৈতিক ও স্থিতিশীলতার কারণে বাজারে চালের দাম একটু বেশি রয়েছে। তবে সবাই নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে বলে তিনি মনে করছেন।