নগরীর প্রাণকেন্দ্র নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা পেরোতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ঘেঁষে গড়ে ওঠা এ বাস টার্মিনালের পরিবহনগুলোর ঠিকানাই হয় এখন রাস্তার ওপরে। বাস কাউন্টারও রাস্তা ঘেঁষে। তার ওপর আশপাশে অবৈধ দোকানপাট, কাঁচাবাজার আর থ্রি হুইলারের ভাসমান স্ট্যান্ডে একাকার কেন্দ্রীয় এ টার্মিনালটি।
নথুল্লাবাদ পাসপোর্ট অফিস থেকে জিয়া সড়কের মোড় প্রায় আধা কিলোমিটার পথে যানজট ঠেকাতে দিনরাত হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বাস টার্মিনাল স্থানান্তর না করা হলে পদ্মা সেতু চালুর পর যানজটের কেন্দ্র হবে এটি।
নগরীর কাশিপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সুজন চৌধুরী প্রতিদিন সকালে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল পেরিয়ে গোড়াঁচাদ দাস রোড নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসেন। পথিমধ্যে টার্মিনাল পেরোতে সময় ব্যয় হয় ১৫-২০ মিনিট। তিনি বলেন, সকাল ১০টা থেকে ১টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত যানবাহন রাস্তার ওপর ফেলে রাখায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
নথুল্লাবাদ বাস মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ইউনুস আলী খান বলেন, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল কাশিপুরে স্থানান্তর করার কথা ছিল। এ জন্য জমি অধিগ্রহণও হয়েছে। কিন্তু এখন আর তার কোনো খবর নেই। এই বাস টার্মিনালের সামনে অবৈধ ফলের দোকানপাট, মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ড, কাঁচা বাজার। মহাসড়কের ওপর বাস রাখা প্রসঙ্গে বলেন, দূরপাল্লার পরিবহন যখন ঘোরানো হয়, তখন লোকাল বাস, থ্রি হুইলারের চাপে যানজট হয়।
বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, ফুটপাতে দোকানপাট, মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ড। বরিশালে যে কোনো যানবাহন ঢুকলেই নথুল্লাবাদ পেরোতেই হবে। বাস টার্মিনালের জায়গা এখন বড় করা দরকার। সড়কের ওপর বাস রাখা প্রসঙ্গে বলেন, রাস্তার ওপর রাখবে না কী করবে। যাত্রী তুলতে তো হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উত্তরের পরিদর্শক বিদ্যুৎ চন্দ্র দে বলেন, ‘বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে লোকাল গাড়ির কাউন্টার রাস্তার ওপরে। সামনেই গাড়ি পার্কিং করে। গাড়িগুলো যাত্রী নিয়ে ছাড়ার সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকার বড় পরিবহনগুলো একই পথ দিয়ে ঢুকে আবার ওই খান থেকেই বের হয়ে যায়। যানজট নিরসনের একমাত্র উপায় টার্মিনাল স্থানান্তর করা বলে জানান তিনি।