গলাচিপা উপজেলার চর কাজল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে আবার ভোট বাছাই ও গণনার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদন করেছেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী জালাল হাওলাদার।
জালাল গত সোমবার বিকেলে এ আবেদন করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার চর কাজল ইউপির ভোট হয়। সেখানে সাধারণ সদস্য পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে মো. জামাল (টিউবওয়েল) ২০১, জালাল হাওলাদার (ফুটবল) ৩৩০, মো. ফারুক খান (তালা) ২৯৭ ও মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (মোরগ) ভোট ৩৭১ পান।
আবেদনে জালাল হাওলাদার বলেন, ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। তবে মুখস্থ একটি ফলাফল শিট তৈরি করে ভোটের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে। চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ঘুষ খেয়েছেন। ভোটকেন্দ্রে থাকা আমার এজেন্টের কাছে রেজাল্ট শিট না দিয়ে ভুয়া ভোট সংখ্যা লিখে ঘোষণা দিয়ে আমার প্রতিপক্ষ মো. মনিরুল ইসলামকে ৪১ ভোট ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। আমি আবার ভোট গণনার দাবি জানাচ্ছি।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুব হাসান শিবলী বলেন, ‘ভোট আবার গণনার জন্য একজন সাধারণ সদস্য প্রার্থী আবেদন করেছেন। প্রিসাইডিং অফিসারের সাথে আমার কথা হয়েছে। সে বলছে, সে ভোট গণনার পর সবাইকে রেজাল্ট শিট দিয়ে এসেছে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’