সখীপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কালমেঘা ইলিমজান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। মারধরে আহত আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেনকে রক্তাক্ত অবস্থায় সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। হামলায় অভিযুক্ত সানোয়ার হোসেন শরীফ ওই ইউনিয়নের যুবলীগের আহ্বায়ক।
গতকাল বুধবার দুপুরে হামলার শিকার কামাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে কালমেঘা ইলিমজান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভা হয়। সভা শেষে যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন শরীফ আমাকে ডেকে নিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় সানোয়ারসহ আরও ৪ থেকে ৫ জন এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এতে আমার নাক ও মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। মাঠের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন লোক কান্না শুনে দৌড়ে এসে আমাকে উদ্ধার করেন।
ভুক্তভোগীর দাবি, তাঁকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই হামলা করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন শরীফ বলেন, ‘টাকা দাবি করার বিষয়টি সত্য নয়; আমাদের মধ্যে যা কিছু হয়েছে তা দুপক্ষের মধ্যে কথা বলে মিটিয়ে নিয়েছি।’
এদিকে হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন বলছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, টাকাপয়সার বিষয় নিয়ে একটু হাতাহাতি হয়েছে। বিষয়টি তেমন কিছুই না, সামান্য একটু অপ্রীতিকর ঘটনা।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে কামাল হোসেন ওই এলাকায় ছোট একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। প্রকল্পের টাকা নিয়েই মূলত এই দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরেই মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি সূত্রটির।