ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শেষে এখন চলছে দলবদলের উত্তেজনা। সবাই এখন দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। ইতিমধ্যে আর্লিং হালান্ড-ডারউইন নুনেজসহ একাধিক বড় অঙ্কের দলবদল দেখা গেছে। সামনে অপেক্ষা করছে আরও নানা চমক। তবে শুধু খেলোয়াড়ই নয়, অনেক কোচও এখন নতুন দল পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। যাঁদের কেউ স্বেচ্ছায় ক্লাব ছেড়ে ছিলেন আবার কেউ দল থেকে ছাঁটাই হয়েছিলেন। এ তালিকায় আছেন রথী-মহারথী কোচরাও।
‘বেকার’ কোচদের তালিকায় সবচেয়ে বড় নামটি সম্ভবত জিনেদিন জিদানের। খেলোয়াড় হিসেবে সর্বকালের সেরা এই ফরাসি কোচ হিসেবেও পেয়েছিলেন দারুণ সাফল্য। রিয়াল মাদ্রিদকে টানা তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়ে অনন্য উচ্চতায় ওঠেন জিদান। তবে গত বছরের ৩০ জুন রিয়ালকে বিদায় বলে দেন তিনি। খোলা চিঠিতে নিজের অভিমানের কথা জানিয়েই বিদায় নেন এই কিংবদন্তি। এর পর থেকে ক্লাব ছাড়াই আছেন জিদান।
তবে কদিন আগে জিদানের প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) যাওয়ার জোর গুঞ্জন সামনে এসেছিল। এমনকি চুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কাতারে উড়াল দেওয়ার খবরও সামনে আসে। এরপর হঠাৎ করেই বাতাস অন্য দিকে মোড় নেয়। এখনো ঝুলে আছে জিদানের পিএসজিতে যাওয়া। এখন পর্যন্ত ক্লাবহীনই আছেন তিনি।
জার্মানিকে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জিতিয়ে অনন্য এক অর্জন নিজের নামের পাশে যোগ করেছিলেন জোয়াকিম লো। এরপর মুদ্রার অন্য পিঠও দেখেন তিনি। ২০১৮ বিশ্বকাপ ও ২০২১ ইউরোতে ভালো ফল পায়নি জার্মানি। ইউরোর আগেই অবশ্য টুর্নামেন্ট শেষে দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন লো। ইউরোতে ব্যর্থতার জেরে তাঁকে আর আটকায়নি জার্মানিও। শেষ পর্যন্ত গত বছরের জুলাইতে আনুষ্ঠানিকভাবে জার্মানিকে বিদায় জানান তিনি।
অনেক আশা নিয়েই ক্লাবের সাবেক তারকা ওলে গুনার সুলশারকে ভাগ্য বদলানোর দায়িত্ব দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শুরুটা ভালো হলেও দ্রুতই পথ হারান এই নরওয়েজীয় কোচ। এরপরও সুলশারকে রেখে দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ম্যানইউ। তবে গত বছরের নভেম্বরে ধারাবাহিক ব্যর্থতার দায়ে মৌসুমের মাঝপথে তাঁকে ছেড়ে দেয় রেড ডেভিলরা।