পীরগঞ্জে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা ও লাশ মাটি চাপা দিয়ে গুম করার অপরাধে এক আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম হিরু মিয়া।
গতকাল রোববার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩-এর বিচারক আলী আহাম্মেদ এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপি তাইজুর রহমান লাইজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল দুপুরে পীরগঞ্জের নন্দরামপুর ফতেপুর গ্রামের জহুরুল হকের মেয়ে জুলি খাতুনকে আসামি হিরু তাঁর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর লাশ তাঁর ঘরের ভেতরেই মাটি খুঁড়ে পুতে রাখেন।
হিরুর ঘরের ভেতর গর্ত দেখে প্রতিবশীদের সন্দেহ হলে শিশুটির স্বজনেরা পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর থেকে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর চাচা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে ওই দিন রাতে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। আসামি হিরু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তিনি শিশুটিকে হত্যা করে লাশ নিজের ঘরে মাটি চাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
আদালতের বিশেষ পিপি তাইজুর রহমান লাইজু বলেন, বাদীপক্ষে আদালতে ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি হিরুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।