মনিরামপুরে করোনার টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করা যাচ্ছে না। টিকার নিবন্ধন করতে গিয়ে কম্পিউটারের দোকান থেকে ফেরত আসতে হচ্ছে আবেদনে ইচ্ছুকদের।
আবেদনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ও ঠিকানাসহ মোবাইল নম্বর দিয়ে কেন্দ্র নির্বাচনের সময় ঘটছে বিপত্তি। টিকা গ্রহণের কেন্দ্র হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাম দিলেই কম্পিউটারে লেখা আসছে, ‘দুঃখিত...এই কেন্দ্রের কোটা পূরণ হয়ে গেছে, অন্য কেন্দ্র নির্বাচন করুন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক সপ্তাহ ধরে এমনটি হচ্ছে বলে দাবি করছেন কম্পিউটার অপারেটরেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। এটা আমাদের এখান থেকে হচ্ছে না। আবেদন গ্রহণ করে ঢাকা থেকে। সার্ভারের সমস্যা হতে পারে।
গত বুধবার সকালে টিকার নিবন্ধন করতে মনিরামপুর বাজারের তাজাম্মুলের কম্পিউটারের দোকানে যান কহিনুর বেগম। নিবন্ধন না করে ফিরে এসেছেন তিনি।
তাজাম্মুল হুসাইন বলেন, ‘আমি টিকার নিবন্ধনের কাজ করি। এক সপ্তাহ ধরে রেজিস্ট্রেশনের কোনো কাজ করতে পারছি না। আবেদন করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্র উল্লেখ করে ক্লিক করলে লেখা আসছে, ‘এই কেন্দ্রের কোটা পূরণ হয়ে গেছে।’
তাজাম্মুল বলেন, ‘প্রতিদিন টিকার আবেদন করতে এসে অনেকে ফিরে যাচ্ছেন।’
উপজেলার রোহিতা বাজারের কম্পিউটার দোকানি মেহেদী হাসান বলেন, প্রতিদিন ১৫-২০টা টিকার আবেদন আসে। ৪-৫ দিন ধরে কোনো কাজ করতে পারছি না। আবেদন নিচ্ছে না।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, ‘মনিরামপুরে করোনার টিকার নিবন্ধন ১ লাখ ৬২ হাজারে পৌঁছেছে। আমরা ১ লাখ ২০ হাজার লোককে টিকা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন আমরা ২ হাজার লোককে টিকা গ্রহণের জন্য বার্তা দিচ্ছি। নিয়মিত হাসপাতালে এসে ১ হাজার ৫০০ লোক টিকা নিচ্ছেন। এ ছাড়া টিকার চাপ কমাতে ইউনিয়নপ্রতি দুই ধাপে ৩ হাজার ৫০০ টিকা দিয়েছেন। এখনো ৩৫ হাজার আবেদন জমা আছে।’
ডা. শুভ্রা বলেন, ‘টিকার রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে মঙ্গলবার সকালে একজন আমাকে জানিয়েছেন। আবেদন গ্রহণ ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। সার্ভারের সমস্যার কারণে নিবন্ধন নিয়ে এই জটিলতা হতে পারে।’