হোম > ছাপা সংস্করণ

আশ্রয়ণে কমছে মানুষের বাস

মো. মাসুম, টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে হাসাইল বানারী আশ্রয়ণ প্রকল্পটি বেহাল হয়ে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেটের সংকট, পুকুরে পানির অভাব, ঘরের টিনে ফুটোসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত প্রকল্পটি। ২৭০ ঘরের মধ্যে মাত্র ৮৩টিতে বসবাস করছে দুস্থ মানুষ। বাকিগুলো খালি পড়ে আছে, কয়েকটিতে পালিত হচ্ছে গবাদিপশু।

সরেজমিনে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিকাংশ কক্ষই তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। বেশ কিছু ঘর খোলা থাকলেও ওইগুলোর মধ্যে মানুষের চেয়ে গবাদিপশুই বেশি লালন-পালন করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকৃত দুস্থদের ঘর বরাদ্দ না দিয়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ধনাঢ্য পরিবারের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো ফাঁকা থাকায় সেখানে মাদক বেচাকেনা ও সেবন করা হয় হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে পানি ও টয়লেটসংকট এবং পুকুরে পানির অভাবে ঘরগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে দিন দিন কমে যাচ্ছে বসবাসকারীর সংখ্যা।

জানা গেছে, ২০১১ সালের জুলাই মাসে শুরু হয় ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণকাজ। ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি সাভার সেনানিবাস এই স্থানে প্রথম পর্যায়ে ৩৩টি ব্যারাক নির্মাণ করে, যা ১৬৫টি পরিবারে বসবাসের জন্য ৩৩টি ব্যারাকে ৫টি করে নির্মিত কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে একই স্থানে ২০১২ সালে আরও ২১টি ব্যারাক ১০৫টি পরিবারের জন্য নির্মাণ করে। ২০১২ সালের ৭ আগস্ট ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়। প্রকল্পে মোট ২৭০টি পরিবারকে বসবাসের জন্য ঘর বরাদ্দ দেওয়া হলেও বর্তমানে ৮৩টি পরিবার বসবাস করছে বলে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীরা জানান।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী তৃতীয় লিঙ্গের নদী বলেন, ‘এখানে ২৭০টি পরিবারের জন্য ১০ বছর আগে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকৃত গরিবদের ঘর বরাদ্দ না দিয়ে প্রীতির মাধ্যমে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ঘর বরাদ্দ দেওয়ায় এই প্রকল্পে বর্তমানে মাত্র ৮৩টি পরিবার বসবাস করছে। তার মধ্যে অনেকেই এ ঘর বরাদ্দ পায় নাই। তারা ঘর ফাঁকা থাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হলে তারা এখানে এসে নিয়ে আবার চলে যায়। বর্তমানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুকুরে পানি নেই। বিশুদ্ধ নলকূপের পানি নেই, টয়লেট নেই, বিদ্যুৎ নেই, এখানে বসবাস করতে অনেক সমস্যা হয়। রাতে খালি ঘরগুলোতে মাদকসেবন ও বিক্রি হয়। অনেক ভয় নিয়ে ঘুমাতে হয়।’

এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আদুল্লাহ কাসি বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় আমি এখানে ছিলাম না। এ ব্যাপারে আমি অবহিত নই।’

এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিন অন্তরা বলেন, ‘সরেজমিনে গিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করেছি। যারা করোনার টিকা নেয়নি তাদের মেডিকেল টিমের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া খাদ্যসামগ্রী, কম্বল, বিশুদ্ধ পানির ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, জ্বর ঠান্ডার ট্যাবলেট ও শিশুদের খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। যেসব পরিবার এখানে বসবাস করছে না, সেটা আগে নির্ণয়ের চেষ্টা করছি। পরে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে শিগগিরই তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ