নেপালের মাঠে স্বাগতিক দর্শকের সামনে কীভাবে সাফল্য পেতে হয়, কদিন আগেই সেটা করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। সাফজয়ী মেয়েদের সেই সাফল্যের সূত্র ধরে এখন নেপালের ছেলেদের হারানোর স্বপ্ন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের।
ফিফা প্রীতি ম্যাচে আজ বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে খেলবেন জামাল ভূঁইয়ারা। ভেন্যু কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে যেখানে মাত্র এক সপ্তাহ আগেই নিজেদের প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জিতেছে নারী ফুটবল দল। নারী ফুটবলের উদ্যাপনের রেশ থাকতে থাকতে নেপালকে হারিয়ে জয়ের ধারা ধরে রাখতে চায় ছেলেদের জাতীয় ফুটবল দল।
গত বৃহস্পতিবার রাকিব হোসেনের একমাত্র গোলে কম্বোডিয়াকে হারিয়ে নেপালে খেলতে গেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। জয় পেলেও স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ধরনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে ফুটবলারদের। মাঠের প্রতিপক্ষের সঙ্গে দশরথ স্টেডিয়ামের ১৫ হাজার দর্শকও একটা বাধা। নেপালের দর্শকদের সামনে ২০১৩ সালের পর এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। গত বছর ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ২-১ গোলে স্বাগতিকদের কাছে হেরেছিলেন জামালরা। সাফের গ্রুপ পর্বে ১-১ গোলে ড্র করে খেলা হয়নি ফাইনাল।
তবে আত্মবিশ্বাস থাকলে পরিসংখ্যান আর স্বাগতিক দর্শকের চাপ সামলানো যে কঠিন কিছু নয়, সেটা নারী ফুটবলাররাই করে দেখিয়েছেন। তাঁদের দেখানো পথে পরিসংখ্যানকে পাত্তা না দিয়ে সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরতে চান পুরুষ ফুটবলাররা। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই শোনালেন জামাল। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘নেপাল ম্যাচ নিয়ে ছেলেদের মধ্যে ভরপুর আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। আমরা এটাও জানি, এটা নেপালের নিজেদের মাঠ। স্বাগতিকদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। তবে আমরা আগামীকাল (আজ) প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল খেলতে চাই। কয়েক দিন আগে এই মাঠে আমাদের মেয়েরা ইতিহাস গড়েছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। আমরাও সেটার পুনরাবৃত্তি করতে চাই। আমরাও জিততে চাই।’
কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয়ের ধারাবাহিকতা আজও ধরে রাখতে আশাবাদী বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ বললেন, ‘নেপাল-বাংলাদেশ ম্যাচ ফিফটি-ফিফটি হয়। দিন শেষে যারা প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি নিখুঁত হবে, গোল করতে যারা আরও বেশি কার্যকর, তারাই জিতবে। আমিও মনে করি, নেপাল আমাদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল খেলবে এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত।’