জেলায় কমতে শুরু করেছে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও শনাক্তের হার। গত বুধবার বিকেল ৫টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ছিল দশমিক ২ শতাংশ। আর গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল দশমিক ৪ শতাংশ।
এ ৪৮ ঘণ্টায় ৯৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে কুমিল্লা নগরের দুটি সরকারি হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় করোনা রোগীর চাপ কমেছে। আইসিইউর জন্য নেই দীর্ঘ অপেক্ষা কিংবা হাহাকার। অধিকাংশ শয্যা এখন খালি রয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এখন অন্য রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। টিকা গ্রহণে আগ্রহসহ সচেতনতা বৃদ্ধিতে কুমিল্লায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি জনসচেতনতা বাড়িয়ে করোনা সংক্রমণ কমানোর জন্য। সেই লক্ষ্যে প্রতিদিনই কাজ চলছে।’ তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দুজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৮২ জন। সর্বশেষ ওই ২৪ ঘণ্টায় ৪৫১ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
এদিকে এ সময় বিদেশগামী ৩৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কারও করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়নি।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত কুমিল্লায় পরীক্ষার জন্য এক লাখ ৭৭ হাজার ৯৫২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এসেছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৭৯৬ জনের। এর মধ্যে ৩৮ হাজার ৯৮০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৮৮ জন। আর মারা গেছেন ৯৪৯ জন।