হোম > ছাপা সংস্করণ

যানজট, ক্ষতি ও সমাধান

সম্পাদকীয়

রাজধানী ঢাকার সমস্যার শেষ নেই। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ থেকে শুরু করে কত রকম দূষণ বা সমস্যা নিয়ে যে রাজধানীবাসীকে বসবাস করতে হয়, তা বলে শেষ করা যাবে না। ঢাকাকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করার গালভরা বুলি কখনো কখনো শুনলেও ক্রমেই এই মহানগরী মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে।   

অন্য সমস্যার কথা থাক। ঢাকার যানজটের সমস্যা নিয়ে দু-চার কথা বলা যায়। রাজধানীর যানজট পরিস্থিতি দিনে দিনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ৪ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় ‘ঢাকার যানজট নিরসনে বিশেষজ্ঞদের ৬ তরিকা’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, চলমান পরিস্থিতিতে যানজট নিরসনে নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই বিশেষজ্ঞরা ছয়টি সুপারিশ করেছেন। 

সুপারিশ ছয়টি হচ্ছে—১. মূল সড়ক থেকে অবৈধ রিকশা (ব্যাটারি ও প্যাডেল) সরাতে হবে; ২. পুলিশের সাধারণ কার্যক্রম ৫ আগস্টের আগে যেমন ছিল, সেই অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে; ৩. ছোট যেসব ইন্টারসেকশন (মোড়) আছে, সেখানে সিগন্যালের সময় সর্বোচ্চ দুই মিনিট আর বড় ইন্টারসেকশনে সিগন্যাল পাঁচ মিনিটের বেশি দেওয়া যাবে না; ৪. ছোট ইন্টারসেকশনের ৫০ মিটার এবং বড় ইন্টারসেকশনের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো গাড়ি পার্ক করা, যাত্রী ওঠানামা, থামানো যাবে না; ৫. ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও দুই সিটি করপোরেশন থেকে নির্ধারিত বাস স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না এবং এসব স্টপেজে একটার পাশে আরেকটা বাস দাঁড়ানো যাবে না এবং ৬. ঢাকা শহরে ট্রাফিক পুলিশের যে আটটি বিভাগ রয়েছে, এই বিভাগগুলোর প্রতিটিতে একটি করে মোবাইল টিম কাজ করবে। এই মোবাইল টিমে প্রশিক্ষিত একজন ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার, একজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা, ডিটিসিএ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা থাকবেন। তাঁদের কাজ হবে ঘুরে ঘুরে সমস্যা দেখা এবং সেগুলো সমাধানে কাজ করা। 

বুয়েটের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, এগুলোতে টাকা খরচ হবে না। এটা তাৎক্ষণিক একটা সমাধান। এগুলোতে প্রধান উপদেষ্টা খুশি হয়েছেন। তিনি পুলিশকে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করতে বলেছেন।  

ঢাকার যানজট সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নানা ধরনের পরিকল্পনার কথা আগে শোনা গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বুয়েটেরই আগের একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৭৩টি মোড়ে আটকে যাচ্ছে যানবাহন। অপচয় হয় বিপুল শ্রমঘণ্টা। এতে করে প্রতিদিন আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। আর জ্বালানি পুড়ছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার। রাজধানী ঢাকার অসহনীয় যানজটে শুধু মানুষের ভোগান্তি ও কর্মঘণ্টাই নষ্ট হচ্ছে না, এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জিডিপি এবং মাথাপিছু আয়ও। 

ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার সাফল্য দেখিয়েও কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের বাহবা পেতে পারে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ